দেশের নানা প্রান্ত থেকে ভ্রমণপিপাসুরা কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে আসছেন। সৈকতের বুকে আছড়ে পড়া ঢেউয়ে শরীর ভিজিয়ে উচ্ছ্বাস করছেন পর্যটকরা। অনেকে সৈকত পাড়ের ছাতার নিচে বসে সাগরের বিশালতা উপভোগ করছেন।
কক্সবাজারের লাবণী, সি-গাল থেকে শুরু করে কলাতলী পয়েন্টের সর্বত্র এখন পর্যটকদের ভিড়। শিশু-কিশোর থেকে শুরু করে তরুণ-তরুণীসহ নানা বয়সী পর্যটকের ঢল নেমেছে। কেউ সৈকতের বালিয়াড়িতে ঘোড়ার পিঠে ঘুরছেন, কেউ আবার দ্রুতগতির জেডস্কি নিয়ে গভীর সমুদ্রে ছুটে যাচ্ছেন। অনেকে বালুচরে দাঁড়িয়ে মুহূর্তগুলো ফ্রেমবন্দী করছেন। তবে হোটেল ভাড়া বাড়তি বলে অভিযোগ করেছেন অনেকে।
এক নারী পর্যটক বলেন, দুই দিনের ছুটিতে এখানে এসে ভালো লাগছে। আর কর্মব্যস্ততার মাঝে পরিবারসহ ঘুরতে আসলে একঘেয়েমি কেটে যায়।’
সৈকতে পর্যটকদে ভিড় বেড়েছে। ছবি: এখন টিভি
এদিকে আড়াই মাস পর পর্যটক বাড়ায় খুশি হোটেল মালিক-শ্রমিক ও ব্যবসায়ীরা। কক্সবাজারের পাঁচ শতাধিক হোটেল-মোটেল, রিসোর্ট ও গেস্ট হাউসের ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ রুম বুকিং হয়ে গেছে। ছুটির দুই দিনে দেড় থেকে দুই লাখ পর্যটক আগমনের প্রত্যাশা করছেন সংশ্লিষ্টরা। যেখান থেকে প্রায় দেড়শো কোটি টাকা আয়ের আশা করছেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা।
কক্সবাজার হোটেল-মোটেল গেস্টহাউস মালিক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক হাফিজুর রহমান লাবলু বলেন, ‘দুই দিনের ছুটিতে সারাদেশ থেকে অনেক পর্যটক আসছেন। গত এক মাসে হরতাল-অবরোধের কারণে আমাদের অনেক ক্ষতি হয়েছে।’
এদিকে পর্যটকদের পদচারণায় স্বরূপে ফিরেছে সমুদ্রকন্যা কুয়াকাটা। সূর্যোদয়-সূর্যাস্ত, সমুদ্রের ঢেউ, সবুজ বনানী আর লাল কাকড়ার বিচরণ দেখতে পর্যটকরা ছুটে বেড়াচ্ছেন। এতে করে কিছুটা মন্দার পর ফের কুয়াকাটার ব্যবসা-বাণিজ্য চাঙ্গা হয়ে উঠেছে। দেড় শতাধিক হোটেল-মোটেলের ৮০ শতাংশ রুম বুকিং হয়ে গেছে।
এছাড়া সবুজ পাহাড়ের সাজেকে কয়েকগুণ পর্যটকের সমাগম বেড়েছে। আলুটিলা, রিছাং ঝর্ণা, কাপ্তাইসহ সবগুলো পর্যটন স্পটে পর্যটকদের ভিড় চোখে পড়ার মতো।