ডিজিটাল বাংলাদেশের ভিত্তি স্থাপিত হয়েছে বঙ্গবন্ধুর হাত ধরে উল্লেখ করে ডাক টেলিযোগাযোগ ও আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ১৯৯৮ সালে মনোপলি বাজার ভেঙে দেওয়ায় প্রত্যন্ত অঞ্চলে সাধারণ মানুষের কাছে সুলভে পৌঁছে গেছে । বর্তমানে মোবাইল ফোন ও ইলেকট্রনিক ডিভাইস উৎপাদনকারী দেশে পরিণত হয়েছে বাংলাদেশ।
বুধবার (৬ ডিসেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁও এর বাংলাদেশ টেলিযোগযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) কার্যালয় প্রথমবারের মত পরির্দশন করেন বিটিআরসি, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ এবং অ্যাসপায়ার টু ইনোভেট (এটুআই) এর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। পরে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের(বিটিআরসি) তথ্য অনুযায়ী এ বছর অক্টোবর পর্যন্ত দেশীয় নির্মাতারা ১ কোটি ৬৭ লাখ ৭৯ হাজার হ্যান্ডসেট উৎপাদন করেছে। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে সরকারের কর সুবিধার আওতায় সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দেশে হ্যান্ডসেটের উৎপাদন বাড়ে।
২০৪১ সাল নাগাদ স্মার্ট বাংলাদেশের চারটি পিলার স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট সোসাইটি, স্মার্ট ইকোনমি ও স্মার্ট গভর্নমেন্ট বাস্তবায়নেও বিটিআরসি অনবদ্য ভূমিকা পালন করবে বলেও আশা করেন প্রতিমন্ত্রী জনাব জুনায়েদ আহমেদ পলক। তিনি বলেন, 'আমরা চাই আগামী দিনে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে বিটিআরসি নতুন একটা উদাহরণ ও ইউনিক মডেল তৈরি করবে যা পুরো বিশ্বের নিকট অনুকরণীয় হবে। যে কোনো পরিস্থিতিতে যাতে টেলিযোগাযোগ সেবা চলমান ও নিরাপদ থাকে তা বিটিআরসি নিশ্চিত করবে।'

সভায় ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব জনাব আবু হেনা মোরশেদ জামান বলেন, 'সরকার কর্তৃক গৃহীত নীতিমালা ও নির্দেশনা বাস্তবায়ন এবং বিটিআরসিকে সার্বিক সহযোগিতা করে যাচ্ছে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ।'
বিটিআরসি'র চেয়ারম্যান জনাব শ্যাম সুন্দর সিকাদরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত বৈঠকে নিয়ন্ত্রক সংস্থা হিসেবে টেলিযোগাযোগ খাতের শৃংখলা সমুন্নত রাখা এবং সাধারণ জনগণকে সেবা প্রদানের পাশাপাশি জাতীয় অর্থনীতিতে অবদান ও সাইবার নিরাপত্তায় কমিশনের কার্যক্রমসমূহ উপস্থাপনা করা হয়।
বিটিআরসি রেগুলেটর হিসেবে নয় ফেসিলিটেটর হিসেবে কাজ করছে উল্লেখ করে সভায় বিটিআরসি চেয়ারম্যান জনাব শ্যাম সুন্দর সিকদার বলেন, 'বর্তমানে দেশে মোবাইল হ্যান্ডসেট উৎপাদনের অনুমোদন ১৬টি প্রতিষ্ঠানকে দেয়া হয়েছে। ফলশ্রুতিতে এখাতে বিনিয়োগ হয়েছে পাঁচ হাজার কোটি টাকা, কর্মসংস্থান হয়েছে ৩০ হাজার মানুষের, বাৎসরিক মোবাইল উৎপাদন ক্যাপাসিটি তিন কোটির ওপরে।'
দেশে বর্তমানে মোবাইল ফোন সংযোগের সংখ্যা ১৮ কোটি ৯ লাখ ৬৭ হাজার।