২২তম নতুন এই রুট মহান বিজয় দিবসে (১৬ ডিসেম্বর) চালু হবে।
শুরুতে সপ্তাহের শনি, সোম ও বৃহস্পতিবার তিনটি ফ্লাইট চলবে। বোয়িং ৭৩৭-৮০০ উড়োজাহাজ দিয়ে সরাসরি এই ফ্লাইটের ইকোনমি ক্লাসে যাওয়ার টিকিটের সর্বনিম্ন দাম ১৫ হাজার ৫২০ টাকা। আর ফিরতি টিকিটের ভাড়া শুরু হবে ২৬ হাজার ৬৩৫ টাকা থেকে। বিজনেস ক্লাসে এই রুটের সর্বনিম্ন ভাড়া ৩৭ হাজার ৬২৪ টাকা এবং ফিরতি টিকিটের ভাড়া শুরু হবে ৬১ হাজার ৯৯৫ টাকা থেকে।
প্রতি বছর চিকিৎসা নিতে প্রায় ২৫ লাখ বাংলাদেশি ভারত সফর করেন। যার একটি বড় অংশ চেন্নাইতে যান। এদিকে ১৫ দিনেই নতুন ফ্লাইটের প্রায় ৬০ শতাংশ টিকিট বিক্রি হয়ে গেছে।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের এমডি শফিউল আজিম বলেন, ‘এই রুটে ফ্লাইট চলাচলের জন্য অনেক বাংলাদেশির দীর্ঘদিনের দাবি ছিলো। যাত্রী চাহিদাও ভালো আছে। আগামী বিজয় দিবসে এ ফ্লাইটের যাত্রা শুরু হবে।
এদিকে গত ১ সেপ্টেম্বর শুরু হওয়া ঢাকা-নারিতা ফ্লাইটেও যাত্রীদের সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। এই রুটে এখন পর্যন্ত যাত্রী পরিবহন ৭১ শতাংশ। শুধু বাংলাদেশি ও জাপানি যাত্রীরাই নয়, বিপুল সংখ্যক নেপালি ও ভারতীয় নাগরিক সরাসরি এই ফ্লাইট ব্যবহার করছেন।
এরই মধ্যে ঢাকা-নারিতা ফ্লাইটের মাধ্যমে কানাডার পশ্চিম উপকূলীয় শহর ভ্যানকুভার ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসে যাত্রী নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করছে বিমান। কোড শেয়ারিংয়ের মাধ্যমে নারিতা থেকে এয়ার কানাডা বিমানের যাত্রীদের এসব গন্তব্যে পৌঁছে দেবে। আগামী জানুয়ারি থেকেই যাত্রীরা এ সুবিধা পাবেন। এতে ঢাকা থেকে ভ্যানকুভার বা লস অ্যাঞ্জেলসগামী যাত্রীদের প্রায় ৫ ঘণ্টা সময় সাশ্রয় হবে।
এমডি শফিউল আজিম আরও জানান, এই সুবিধা চালু হলে ঢাকা-নারিতা ফ্লাইটের যাত্রী পরিবহন প্রায় শতভাগে পৌঁছাবে।