গুয়াহাটির বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনের মাধ্যমে তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। দেশে ফেরত আসা বাংলাদেশিরা হলেন সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার কামীল আহমেদ, বাহার উদ্দিন, কাওসার আহমেদ ও ফয়সাল আলম; টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরের মোছাঃ সবুরা খাতুন, মোছাঃ হালিমা খাতুন, হোসনে আরা খাতুন ও খাজা ময়েন উদ্দীন; কুমিল্লার নাঙ্গলকোটের রাসেল জমাদ্দার; এবং গোপালগঞ্জের কোটালিপাড়া উপজেলার মোঃ ইব্রাহিম হাওলাদার।
এই ১০ বাংলাদেশি বিভিন্ন সময়ে ভারতের মেঘালয়ে অনুপ্রবেশের কারণে আটক হন। এরপর আদালতের নির্দেশে তাদের ভারতের জেলে পাঠানো হয়। পরে তাদের নাগরিকত্ব যাচাই করা হয়। দেশে পাঠানোর জন্য ভারত সরকারের অনাপত্তি সংগ্রহ করা হয়।
বাংলাদেশে ফেরত আসা নারীদের কয়েকজন জানান, চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে দালালরা তাদের ভারতে পাচার করে দেন। বিক্রির উদ্দেশ্যে তাদের মেঘালয়ের একটি এলাকায় রাখা হয়। সেখান থেকে পুলিশ তাদের আটক করে।
ফেরত আসা একজনের বয়স ১১ বছর। নাম খাজা ময়েন উদ্দীন। আঠারো মাস জেলে থেকে বাংলায় আর কথা বলতে পারেছে না। কিছুটা হিন্দি, কিছুটা খাসিয়া, কিছুটা ইংরেজিতে কথা বলছে ছোট্ট ময়েন।
সিলেটের এক বাসিন্দা কাওছার আহম্মদ জানান, ভালো কাজ পাইয়ে দেয়ার কথা বলে নিয়ে যায়, পরে আমি গিয়ে কাজ করলেও আমাকে ঠিকমতো টাকা দিত না। দেশে ফিরে আসতে চেষ্টা করলে আমাকে আটক করে জেলে পাঠায়।
তামাবিল ইমিগ্রেশন পুলিশ চেকপোস্টের অফিসার ইনচার্জ রনু মিয়া ফেরত আসাদের গ্রহণ করেন। তিনি বলেন, প্রায়ই আমরা এই ধরনের ঘটনা দেখতে পাই। এই ধরনের ঘটনা থামাতে আমাদের সচেতনতা প্রয়োজন।
এসময় ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের পক্ষ থেকে পাচারের শিকার ব্যক্তিদের জরুরি সহায়তা হিসেবে খাবার, জরুরি কাউন্সেলিং সেবা ও অর্থ সহায়তা দেয়া হয়। ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রাম ও ইয়ুথ প্ল্যাটফর্মের সহযোগী পরিচালক শরিফুল হাসান জানান, বাংলাদেশ এবং ভারতের স্থল সীমান্ত পৃথিবীর ষষ্ঠ বৃহত্তম সীমান্ত। মানব পাচারকারীরা এই সুযোগ নেয়। নানা প্রলোভন দেখিয়ে বা বিদেশে কাজের কথা বলে অনেককে তারা ভারতে নেয়। এজন্য সচেতনতা জরুরি।