পিরোজপুরে বাঙ্গি চাষে কৃষকদের আগ্রহ বাড়ছে

0

পিরোজপুরে ভালো দাম পাওয়ায় বাঙ্গি চাষে স্থানীয় কৃষকদের আগ্রহ বাড়ছে। পুষ্টিগুণে ভরপুর ও অনেক উপকারী ফল এটি। বাঙ্গি এক রকমের শসা জাতীয় ফল। তবে বাঙ্গি শসার চেয়ে বেশ বড় হয়।

জেলার ইন্দুরকানী উপজেলায় এবার ভাঙ্গির বাম্পার ফলন হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ফলন ভাল হয়েছে বলে জানান কৃষকরা। এছাড়া বাঙ্গি চাষ লাভজনক হওয়ায় কৃষকরাও চাষে আগ্রহী হচ্ছেন।

উপজেলা কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, গত বছরের তুলনায় এবার ১৫ হেক্টর জমিতে বাঙ্গি চাষ বেশি হয়েছে। উপজেলার বালিপাড়া, ঢেপসাবুনিয়া, মাঝেরচর, পত্তাশী ও চরনী পত্তাশী গ্রামে দিগন্তজোড়া মাঠে শুধু সবুজ আর সবুজের সমারোহ। এই সবুজের মাঝে থরে থরে সাজানো আছে বড় বড় বাঙ্গি। দেখলে শুধু চোখ নয় মনও জুড়িয়ে যায়।

শুক্রবার (২২ মার্চ) উপজেলার ঢেপসাবুনিয়া গ্রামে বাঙ্গি ক্ষেতে গিয়ে দেখা যায় কৃষকদের কর্মব্যস্ততা। কেউ বিক্রির জন্য ক্ষেত থেকে বাঙ্গি তুলছে, আবার কেউ গাছে পানি দিচ্ছে।

বাঙ্গি চাষি ইমাম হোসেন জানান, তারা এবার ২৪ বিঘা জমিতে বাঙ্গি চাষ করেছেন। এতে তাদের ১ লক্ষ টাকার মতো খরচ হয়েছে। গত বছর একই পরিমাণ জমির বাঙ্গি ৮ লাখ টাকায় বিক্রি করেছেন। এবার তারা ২৪ হাজার বাঙ্গি বিক্রীর আশা করছেন।

ইমাম হোসেন আরও জানান, রমজানের কারণে বাঙ্গির দাম ভালো হওয়ায় এবার ১৫ লাখ টাকার বেশি বিক্রীর আশা রয়েছে। বর্তমানে ক্ষেত থেকে প্রতিটি বাঙ্গি পাইকাররা গড়ে ৭৫ টাকা দরে কিনছেন।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কামরুন্নেছা সুমি বলেন, ইন্দুরকানী উপজেলার মাটি বাঙ্গি চাষের উপযোগী। উপজেলায় এ বছর ৬৫ হেক্টর জমিতে বাঙ্গি চাষ হয়েছে। গত বছর এখানে ৫০ হেক্টর জমিতে বাঙ্গি চাষ হলেও ফলন ভালো ও লাভ বেশি হওয়ায় চাষীরা বাঙ্গি চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। এ বছর আমাদেরর লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়েছে। আগামীতে আরো বেশি পরিমাণ জমিতে বাঙ্গি চাষের আশা করছি।