তবে বিদ্যুৎ, গ্যাস সংকটে ব্যাহত হচ্ছে এখানকার উৎপাদন। চাঁদপুর অ্যালুমিনিয়ামের স্বত্বাধিকারী মফিজুল ইসলাম খান বলেছেন, আপাতত আমরা শুধু ফিনিশ গজটা তৈরি করছি, যদি সবসময় গ্যাস পাই তবে অ্যালুমিনিয়ামের কাঁচামাল থেকে শুরু করে পুরোটাই আমরা তৈরি করতে পারব।
অ্যালুমিনিয়াম কারখানার এক শ্রমিক বলেন, প্রোডাকশনে লস হচ্ছে, 'এতে কোম্পানিরও লস হচ্ছে।' অপর একজন জানান, 'বিদ্যুৎ না থাকার জন্য ঠিকভাবে কাজ করতে পারি না , আট ঘণ্টার জায়গায় ৫/৬ ঘণ্টা কাজ করি।'
১৯৯৯ সালে চাঁদপুর শহরের বাবুরহাট এলাকায় ১০ একর জায়গা নিয়ে কার্যক্রম শুরু করে বিসিক শিল্পনগরী। কম দামে উদ্যোক্তাদের বরাদ্দ দেয়া হয় ৬৮টি প্লট। এরপর থেকে এ শিল্পনগরীতে বিনিয়োগ হয় ১২০ কোটি টাকা। তবে বরাদ্দ দেয়া হলেও কিছু প্লট এখনও খালি রয়েছে।
৩৪টি শিল্প ইউনিটের মধ্যে বর্তমানে চালু রয়েছে ২৯টি। অর্থনৈতিক সংকটসহ বিভিন্ন জটিলতায় বন্ধ ৬টির উৎপাদন। এখানে পোশাক, তৈজসপত্র, ওষুধসহ বিভিন্ন পণ্য উৎপাদন হয়। এখানে উৎপাদিত পোশাক রপ্তানিও হচ্ছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরে শিল্পনগরী থেকে রাজস্ব আয় ১ কোটি ১০ লাখ টাকা।
চাঁদপুর বিসিক এর সহকারী মহাব্যবস্থাপক মো. শাহরিয়ার খান জানান, আমরা ইতোমধ্যে পল্লী বিদ্যুতের কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলেছি, উনি আমাদের এ বিষয়ে অগ্রাধিকার দেবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন। এর জন্য এখন সমস্যা কিছুটা কমছে, অতিদ্রুত এ সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে।
চাঁদপুর বিসিক শিল্পনগরীতে কর্মসংস্থান হয়েছে প্রায় ২ হাজার নারী-পুরুষের।




