সভা স্থগিত ও পরবর্তী প্রস্তুতি (Meeting Postponed & Future Prep)
আজ (মঙ্গলবার, ৩০ ডিসেম্বর) কমিশনের এক সদস্য নিশ্চিত করেছেন যে, শোকাবহ পরিস্থিতি ও সরকারি ছুটির কারণে বুধবারের নির্ধারিত সভাটি হচ্ছে না। তবে স্থগিত এই সভার নতুন তারিখ দ্রুতই নির্ধারণ করে সদস্যদের জানিয়ে দেওয়া হবে। বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গত জুলাইয়ে এই কমিশন গঠন করেছিল, যাদেরকে ছয় মাসের মধ্যে চূড়ান্ত সুপারিশ জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন:
গ্রেড সংখ্যা নিয়ে তিন ধরণের চিন্তা (Three Thoughts on Grade Structure)
নবম পে-স্কেলে বিদ্যমান ২০টি গ্রেড (20 Grades) বজায় থাকবে নাকি কমানো হবে, তা নিয়ে কমিশনের সদস্যদের মধ্যে তিনটি ভিন্ন মত দেখা দিয়েছে:
প্রথম পক্ষ: বিদ্যমান ২০টি গ্রেড অপরিবর্তিত রেখে কেবল যৌক্তিক হারে বেতন ও ভাতা বৃদ্ধির সুপারিশ করা।
দ্বিতীয় পক্ষ: বেতন বৈষম্য কমাতে গ্রেড সংখ্যা ২০টি থেকে কমিয়ে ১৬টি (16 Grades) করার প্রস্তাব।
তৃতীয় পক্ষ: বৈষম্য দূর করতে আরও আমূল পরিবর্তন এনে গ্রেড সংখ্যা ১৪টি (14 Grades) করার পক্ষে মত দিয়েছেন অনেকে।
আরও পড়ুন:
বৈষম্য নিরসন ও চূড়ান্ত প্রতিবেদন (Reducing Inequality & Final Report)
পে-কমিশনের সূত্র জানিয়েছে, গ্রেড সংখ্যা বেশি হওয়ায় নিম্নধাপের কর্মচারীদের মধ্যে বেতন বৈষম্য (Pay Disparity) প্রকট হচ্ছে। তাই গ্রেড কমিয়ে একটি বাস্তবসম্মত সুপারিশ (Realistic Recommendation) তৈরির চেষ্টা চলছে। বিভিন্ন সংস্থা ও সংগঠন থেকে প্রাপ্ত মতামতগুলো বর্তমানে 'চুলচেরা বিশ্লেষণ' করা হচ্ছে। যদিও প্রতিবেদন তৈরির কাজ এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে, তবে ডিসেম্বরের ১৫ তারিখের মধ্যে গেজেট প্রকাশের জন্য কর্মচারীদের পক্ষ থেকে আল্টিমেটাম দেওয়া হয়েছিল।



