নৌবাহিনী প্রধান তার ভাষণের শুরুতেই বিজয়ের মাসে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যসহ মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী সব মুক্তিযোদ্ধাকে গভীর কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করেন।
তিনি বলেন, ‘মিলিটারি ইঞ্জিনিয়ার সার্ভিসেস একটি স্বনামধন্য সেবাদানকারী আন্তঃবাহিনী প্রতিষ্ঠান হিসেবে অত্যন্ত দক্ষতা ও নিষ্ঠার সাথে অর্পিত দায়িত্ব পালন করে আসছে।’
‘সেবাই ব্রত’ এ মূলমন্ত্রকে সামনে রেখে এমইএস এর সদস্যদের বর্তমানে প্রযুক্তির অগ্রগতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে আধুনিক প্রকৌশল প্রযুক্তি, ডিজিটাল প্রকল্প ব্যবস্থাপনা ও পরিবেশবান্ধব নির্মাণ নীতির আলোকে কাজ করার আহবান জানান। দক্ষ মানব সম্পদ, টেকসই নকশা ও সঠিক পরিকল্পনার মাধ্যমে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে প্রকল্প বাস্তবায়নে ভবিষ্যতেও এমইএস তার সুনাম অক্ষুণ্ণ রাখবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন নৌবাহিনী প্রধান।
আরও পড়ুন:
প্রতিরক্ষা অবকাঠামো উন্নয়ন ও জাতীয় অগ্রযাত্রায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার জন্য সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী সবাইকে ধন্যবাদ জানান। এসময় প্রধান অতিথি এমইএসের কর্মকর্তাদের থেকে উত্থাপিত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। পরে নৌবাহিনী প্রধান সম্মেলন উপলক্ষে আয়োজিত নির্মাণ সামগ্রীর স্টল পরিদর্শন করেন।
সম্মেলনের তৃতীয় দিনে এমইএসের সামরিক-বেসামরিক কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে দেশের স্বনামধন্য পাঁচটি প্রতিষ্ঠানের কারখানা, উৎপাদিত পণ্যের গুণগতমান এবং উৎপাদন প্রক্রিয়া সরেজমিনে পরিদর্শন করা হবে। এতে কর্মকর্তারা কারিগরি অভিজ্ঞতা অর্জন করবেন, যা সশস্ত্র বাহিনীর নির্মাণাধীন ও নির্মিতব্য প্রকল্প কাজের গুণগতমান বজায় রাখতে সহায়তা ভূমিকা পালন করবে। এছাড়াও এমইএসের বার্ষিক সম্মেলনে প্রশাসনিক, কারিগরি, আর্থিক, কল্যাণমূলক এবং প্রশিক্ষণ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়।
সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে পরিচালক, পূর্ত পরিদপ্তর, বাহিনী সদর দপ্তরগুলোর পরিচালকরা, পূর্ত পরিচালক ও প্রধান প্রকৌশলী, সেনা, নৌ এবং বিমান বাহিনী এমইএস এর সর্বস্তরের কর্মকর্তারা এবং ভিটিসির মাধ্যমে সংযুক্ত সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।—আেইএসপিআর
