অনুষ্ঠানে ডিক্যাব সভাপতি এ কে এম মঈনুদ্দিন এবং সাধারণ সম্পাদক মো. আরিফুজ্জামান মামুনও বক্তব্য রাখেন।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘যদিও তিনি ভারতে আছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে, তবে নয়াদিল্লী কোনো আনুষ্ঠানিক নিশ্চয়তা দেয়নি এবং তার প্রত্যাবর্তন নিয়ে এখনও কোনো আনুষ্ঠানিক আলোচনা হয়নি।’
তিনি বলেন, ‘আমার কাছে আসাদুজ্জামান খান কামাল সম্পর্কিত কোনো অফিসিয়াল তথ্য নেই। আমরা সবাই জানি তিনি ভারতে আছেন, কিন্তু আমাদের কখনো আনুষ্ঠানিকভাবে লিখিত আকারে জানানো হয়নি। আমার কাছে কোনো তথ্য নেই যে তার ফেরত প্রক্রিয়া সম্পর্কিত কোনো আলোচনা শুরু হতে যাচ্ছে।’
উপদেষ্টা বলেন, ‘যেহেতু সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দণ্ডিত করা হয়েছে, বাংলাদেশ আশা করে যত দ্রুত সম্ভব ভারত থেকে তাকে ফেরত পাঠানো হবে।’
আরও পড়ুন:
বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের বিষয়ে তিনি জানান, জুলাই মাসের গণঅভ্যুত্থানের পরবর্তী পরিস্থিতি অনুযায়ী প্রতিবেশী ভারতের নতুন বাস্তবতার সাথে মানিয়ে নিতে কিছু সময়ের প্রয়োজন। তবে তিনি আশা করেন যে দুই দেশের কর্মসম্পর্ক শিগগিরই স্বাভাবিক হবে। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা ভারতের সঙ্গে স্বার্থভিত্তিক আরও উন্নত কর্মসম্পর্ক চাই।’
বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এটি বিশ্বের একমাত্র সীমান্ত যেখানে যুদ্ধ পরিস্থিতি ছাড়াই মানুষ নিহত হয়।’
তিনি বলেন, ‘কেউ যদি অপরাধ করে, তাহলে (গুলি না চালিয়ে) বিচার ও শাস্তি দেওয়ার জন্য আদালত আছে।’
তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘বাংলাদেশ সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষীদের দ্বারা তার নাগরিকদের হত্যাকাণ্ড নিয়ে প্রতিবাদ অব্যাহত রাখবে এবং নিন্দা জানাবে।’
এসময় তিনি তারেক রহমানের দেশে ফেরা প্রসঙ্গে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে ফেরা নিয়ে সরকারের কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই। তিনি দেশে ফেরার ইচ্ছা প্রকাশ করলে একদিনের মধ্যেই এককালীন ভ্রমণ অনুমতি ইস্যু করা সম্ভব।’





