কাঁপছে ঘরবাড়ি, আসবাবসহ ঝুলন্ত ফ্যান। হঠাৎ কম্পনে আতঙ্কিত মানুষ।
আজ (শুক্রবার, ২১ নভেম্বর) সকাল ১০টা ৩৮ মিনিটে ভয়াবহ ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে দেশ। নিকট অতীতে এমন ভীতিকর কম্পন কবে হয়েছিলো, তা হয়তো ধারণার বাইরে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যমতে, শুক্রবার সকালে রিখটার স্কেলে ৫.৭ মাত্রার ভূ-কম্পন অনুভূত হয়। যার উৎপত্তিস্থল ছিলো নরসিংদীর মাধবদীতে। সিসমিক সেন্টার হতে ১৩ কিলোমিটার পূর্বে যার অবস্থান। মাঝারি এই ভূকম্পনে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে সারাদেশে। আতঙ্কিত হয়ে অনেকেই ঘর ছেড়ে বেরিয়ে আসেন বাইরে।
ভূমিকম্পের পর একের পর এক বের হয়ে আসে ক্ষয়ক্ষতির চিত্র। পুরনো ঢাকার আরমানিটোলা কসাইটুলি ৮ তলা ভবন হেলে পড়ার খবর পাওয়া যায়। এ সময় রেলিং ধসে পড়ে নিহত হয় ৩ জন। এছাড়া তাড়াহুড়োয় বিল্ডিং থেকে নামতে গিয়ে আহত হন বেশ কয়েকজন। ঢাকা মেডিকেলে জরুরি বিভাগে চিকিৎসা নিয়েছেন ৩৯ জনেরও বেশি।
আরও পড়ুন:
আরমানিটোলার একজন বলেন, ‘আমার মুখে কোনো ভাষা নেই। আমার হাত পা কাঁপছে। শুনলাম এখানে একটা দুর্ঘটনা ঘটেছে। পরে আমি আমার বাসা থেকে চলে আসলাম।’
এছাড়া নগরীর খিলগাঁও নির্মাণাধীন ভবন থেকে পার্শ্ববর্তী দোতলা একটি ভবনে একটি ইট পড়ে একজন আহত হয়। ভূমিকম্পের ভয়াবহতায় সূত্রাপুর, স্বামীবাগ, কলাবাগান, বাড্ডাসহ বিভিন্ন এলাকায় ভবন হেলে পড়ার খবর পাওয়া যায়।
নগরবিদরা বলছেন, এ কম্পন ঢাকার অধিকাংশ ভবনের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। বিল্ডিং কোড না মানা কিংবা অপরিকল্পিত নগরায়ন ভূমিকম্পে ক্ষতির শঙ্কা বাড়িয়ে তুলছে বলেও মন্তব্য করেন তারা।
নগর পরিকল্পনাবিদ আদিল মুহাম্মদ খান বলেন, ‘ভূমিকম্প আসলে তারা কিছুক্ষণ পরে বা কয়েক ঘণ্টা পরে বা এক দিন পরেও আফটার শকে আরেকটি ভূমিকম্প আসতে পারে। তুরস্কের উদাহরণে কিন্তু দেখা গিয়েছে আফটার শকেও কিন্তু অনেক ভবন নতুন করে পড়ে গিয়েছে। সেক্ষেত্রে বেশি ভালনারেবল থাকে এরকম হেলে পড়া ভবন বা ফেঁটে যাওয়া ভবন।’
এদিকে ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল নরসিংদীর মাধবদীতে ভূমিকম্পের ভয়াবহতায় একজন নিহতসহ অর্ধশতাধিক আহত বলে জানা গেছে।





