স্ট্যাটাসে মির্জা ফখরুল লেখেন, বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ এ দেশের মানুষের হাতে—‘আপনার ভবিষ্যৎ, আপনার সন্তানের ভবিষ্যৎ আপনার হাতেই ইনশাআল্লাহ।’
তিনি উল্লেখ করেন, মানুষ চাকরি খুঁজুক, ব্যবসা শুরু করতে চায়, নিরাপদে ঘরে ফিরতে চায়, সন্তানকে ভালো স্কুলে দিতে চায় কিংবা বৃদ্ধ বাবা–মায়ের স্বাস্থ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চায়। এসব কিছুর জন্য প্রয়োজন পরিকল্পনা ও শৃঙ্খলা। তার চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ একটি সক্ষম ও অভিজ্ঞ রাষ্ট্র, যা সেই পরিকল্পনাকে বাস্তবে রূপ দিতে পারে। আর এসব অর্জন ‘১০ সেকেন্ডের অ্যাটেনশন স্প্যান দিয়ে সম্ভব নয়’ বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
ব্যক্তিজীবনের সাধারণ ইচ্ছা–প্রত্যাশার কথাও উল্লেখ করেন ফখরুল। তিনি লেখেন, আপনি শান্তিতে বসে এক কাপ চা খেতে চান, স্ত্রী বা প্রিয়জনের সঙ্গে সংসার নিয়ে কথা বলতে চান, পরের বছর কোথায় ভ্রমণে যাবেন—এসব পরিকল্পনা নির্ভর করে সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের সক্ষমতা ও প্রজ্ঞার ওপর। ব্যক্তি জীবনের শৃঙ্খলা যেমন মানুষকে এগিয়ে নিয়ে যায়, রাষ্ট্রকেও তেমনি এগিয়ে দেয় বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
স্ট্যাটাসে তিনি আরও বলেন, ‘সব কিছুর জন্য জরুরি হলো ইন্টিগ্রিটি।’ এ প্রসঙ্গে তিনি ইউভাল নোয়া হারারির আলোচিত বই ‘হোমো ডিউস’ পড়ার পরামর্শ দেন। বইটি সম্পর্কে তিনি লেখেন, মানবজাতির ভবিষ্যৎ পথচলা, প্রযুক্তির দখল, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার উত্থান এবং জৈবপ্রযুক্তির সম্ভাবনা নিয়ে এটি একটি গভীর বিশ্লেষণ। হারারি দেখিয়েছেন মানুষ কীভাবে ভয়–দারিদ্র্য–রোগ মোকাবিলা করে এখন এক ধরনের ‘ঈশ্বরসদৃশ ক্ষমতা’ অর্জনের দিকে এগোচ্ছে। তার মতে, হোমো ডিউস শুধু প্রযুক্তি বা ইতিহাসের বই নয়; এটি মানবজাতির ভবিষ্যৎ পরিচয় নিয়ে গভীর চিন্তার আহ্বান।
রাজনৈতিক জীবন নিয়ে ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার কথাও উল্লেখ করেন মির্জা ফখরুল। তিনি লেখেন, সব সময়ই আমাকে অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হয়েছে। তবে মাথায় সব সময় একটি প্রশ্ন কাজ করেছে—কীভাবে এই জাতির ভবিষ্যৎ গড়া যায়! ডিসিশন মেকিংয়ে ইন্টিগ্রিটি সবচেয়ে জরুরি, এটি নিয়ে কোনো ধরনের আপস না করার আহ্বানও জানান তিনি।
স্ট্যাটাসের শেষে তিনি পাঠকদের উদ্দেশে বলেন, সিদ্ধান্ত গ্রহণে সততা ও নৈতিকতা থেকে যেন কেউ সরে না যায়—‘এটাই আপনার প্রতি আমার অনুরোধ।’





