বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০২২ সাল থেকে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশন ‘ইউনাইটেড নেশনস ইন্টারিম সিকিউরিটি ফোর্স ফর আবেই’ (ইউএনআইএসএফএ)-তে বাংলাদেশের একটি ব্যাটালিয়ন মোতায়েন রয়েছে। ২০২৫ সালের মে মাসের প্রথম সপ্তাহে বাংলাদেশ ব্যাটালিয়ন, ব্যানব্যাট-৩ এর একটি টহলদল আবেই বাজার এলাকায় এক বাংলাদেশী নাগরিকের সন্ধান পায়।
সুদান থেকে ফেরত আসা ব্যক্তির নাম মো. ময়নুল হক। তিনি গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ থানার বামনডাঙ্গার তালুক বাজিত গ্রামের রজ্জব আলীর ছেলে।
এতে আরও বলা হয়, ১৯ বছর পূর্বে ঠিকাদারির কাজে সুদানের রাজধানী খার্তুমে পাড়ি জমান তিনি। গৃহযুদ্ধ শুরু হওয়ায় তিনি আবেই অঞ্চলে পালিয়ে যান। এসময় তিনি পাসপোর্টসহ সমস্ত বৈধ নথিপত্র হারিয়ে ফেলেন। ফলে তার দেশে ফেরা অসম্ভব হয়ে পড়ে। পরে সেনাবাহিনীর সদস্যদের সাক্ষাৎ পেয়ে দেশে ফিরে আসার কথা জানান তিনি।
আরও পড়ুন:
এ প্রেক্ষিতে আবেইতে অবস্থানরত সেনাবাহিনীর সদস্যবৃন্দ বাংলাদেশে তার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। সেই সঙ্গে দেশে ফেরার আবেদন সেনাসদর এ প্রেরণ করেন। পরবর্তীতে আবেদনটি সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের মাধ্যমে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হলে, গত ১৫ আগস্ট ইথিওপিয়ায় অবস্থিত বাংলাদেশি দূতাবাস কর্তৃক ‘ট্রাভেল পারমিট’ ইস্যু করা হয়।
এছাড়াও তার বর্তমান আর্থিক অবস্থা বিবেচনা করে দূতাবাস কর্তৃক বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তনের বিমান ভাড়া এবং আনুসাঙ্গিক আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়। এরপর গত ২৯ অক্টোবর সেনাবাহিনীর সার্বিক তত্ত্বাবধানে আবেই হতে বিমানযোগে জুবা, সাউথ সুদানে আসেন। জুবা, সাউথ সুদান থেকে ইথিওপিয়ান এয়ারলাইন্সের একটি বিমানযোগে আজ হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, ঢাকায় আসেন।
দীর্ঘ ১৯ বছর পর সুদান থেকে বাংলাদেশে ফেরত এসে ময়নুল হক তার পরিবারের সঙ্গে মিলিত হতে পেরে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আরও জানায়, বাংলাদেশি নাগরিকের দেশে প্রত্যাবর্তনের মতো মানিবক কার্যক্রমে সম্পৃক্ত হতে পেরে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্যরা আনন্দিত ও গর্বিত। যে কোনো প্রয়োজনে দেশের মানুষের পাশে থাকার জন্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।





