জুলাই সনদের বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ধারায় লিখিত আপত্তি বা নোট অব ডিসেন্ট জানিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। ফেসবুক পোস্টে সাদিক কায়েম জানান, ক্ষমতা ভারসাম্যের লক্ষ্যে উচ্চকক্ষে প্রোপোরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন ভিত্তিক আসন বণ্টনের প্রস্তাবসহ একাধিক মৌলিক সংস্কার ইস্যুতে আপত্তি তুলেছে বিএনপি। একইসঙ্গে, আপত্তিযুক্ত বিষয়গুলোতে গণভোটের বিপক্ষেও অবস্থান নিয়েছে দলটি।
আরও পড়ুন:
বিএনপির আপত্তির মূল ক্ষেত্রসমূহ উল্লেখ করে সাদিক কায়েম বলেন, ‘ক্ষমতার ভারসাম্য রক্ষার লক্ষ্যে উচ্চকক্ষে প্রোপোরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন ভিত্তিক আসন বণ্টনের প্রস্তাবে বিএনপি নোট অব ডিসেন্ট দিয়েছে। পিএসসি নিয়োগ প্রক্রিয়াকে সম্পূর্ণ মেধা ভিত্তিক ও দলীয় প্রভাবমুক্ত রাখার প্রস্তাবেও তারা আপত্তি জানিয়েছে। একই ব্যক্তি একইসাথে প্রধানমন্ত্রী এবং দলীয় প্রধান হতে পারবেন না- এ বিষয়ে বিএনপি গণভোটের বিরোধিতা করছে। এমনকি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ধারায় নোট অব ডিসেন্ট দিয়েছে। একইভাবে বিচারপতি নিয়োগ, দুর্নীতি দমন কমিশন, মানবাধিকার কমিশন ও অডিটর জেনারেল নিয়োগ প্রক্রিয়া স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ করার প্রস্তাবসহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আপত্তি জানানো হয়েছে।’
যেসব প্রক্রিয়ার মাধ্যমে অতীতে দুর্নীতি, বৈষম্য ও ফ্যাসিবাদকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেয়া হয়েছিল, সেসব সংস্কারের বিরুদ্ধেই নোট অব ডিসেন্ট দিয়ে তারা মূলত সংস্কার বিরোধী অবস্থান নিয়েছে বলেও অভিযোগ করেন সাদিক কায়েম। এতে আরও অভিযোগ করা হয় যে, এ অবস্থান ফ্যাসিবাদী কাঠামো টিকিয়ে রাখা এবং জুলাই গণহত্যার বৈধতা দেয়ার নামান্তর।
পোস্টে তিনি বলেন, ‘কোনো রাজনৈতিক দলকে দেশের মালিক বানাবার জন্য এত মানুষ জীবন দেয় নি।’ জুলাই প্রজন্মকে উপেক্ষা করে জনগণের প্রকৃত ক্ষমতায়ন ও নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণের পথে কেউ বাধা হয়ে দাঁড়ালে তাদের অস্তিত্বের সংকট মোকাবিলার প্রস্তুতি রাখার হুশিয়ারিও দেন তিনি।





