তাজুল ইসলাম বলেন, ‘সর্বশেষে তিনি (শেখ হাসিনা) রাষ্ট্রের বিভিন্ন সংস্থার মধ্যে গণ্ডগোল লাগানোর চেষ্টা করেছেন। সেনাবাহিনীকে উসকে দিতে চেয়েছেন। বলেছেন, ‘‘তোমাদের অফিসারদের বিচার হয়, তোমরা কেন রুখে দাঁড়াচ্ছ না?’’ অর্থাৎ রাষ্ট্রে একটা সিভিল ওয়ার লাগানোর চেষ্টা করেছেন। কিন্তু বাংলাদেশের দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনী সেই ফাঁদে পা দেয়নি। জনগণও দেয়নি।’
তিনি আরও বলেন, ‘শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামানের মধ্যে কোনো অনুশোচনা নেই। এত বড় অপরাধ সংঘটিত হয়েছে; দুনিয়ার সবাই জানে, তিনি নিজেও জানেন। কিন্তু তার মধ্যে সামান্যতম রিমোর্স (অনুশোচনা) নেই। উল্টো তিনি সাক্ষীদের হুমকি দিচ্ছেন, বাড়িঘর ধ্বংসের হুমকি দিচ্ছেন, এমনকি মরদেহ বঙ্গোপসাগরে ফেলে দেয়ার কথাও বলেছেন।’
আরও পড়ুন:
চিফ প্রসিকিউটর বলেন, ‘এরকম নিষ্ঠুর হত্যাযজ্ঞ, পুরো প্রজন্মকে নিশ্চিহ্ন করার চেষ্টা, ৩৫ হাজার মানুষকে আহত করা, তবু অনুশোচনা নেই। তাই সর্বোচ্চ শাস্তিটাই তার প্রাপ্য।’
তাজুল ইসলাম আরও জানান, আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইনটি বিশেষভাবে তৈরি করা হয়েছে, তাই আসামিপক্ষের যুক্তি গ্রহণযোগ্য নয়।
তিনি বলেন, ‘আমরা যেসব প্রমাণ উপস্থাপন করেছি, তা হিমালয়ের মতো দৃঢ়, ক্রিস্টালের মতো স্বচ্ছ। এসব প্রমাণ দুনিয়ার যেকোনো আদালতে উপস্থাপন করলে অপরাধীদের দোষ স্পষ্টভাবে প্রমাণিত হবে।’
আদালত আগামী ১৩ নভেম্বর পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করেছে। ওইদিন জানানো হবে, কবে রায় ঘোষণা করা হবে।





