আজ (মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে ব্রিফিংয়ে এসব কথা উঠে আসে। আখতার আহমেদ বলেন, ‘আমরা একটা চিঠি দিয়েছি উনাদেরকে যে, আগামী ১৯ অক্টোবরের মধ্যে বিকল্প প্রতীক জানাবেন। যদি না জানান তাহলে স্বীয় বিবেচনায় নির্বাচন কমিশন এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে।’
তিনি বলেন, ‘এনসিপির সঙ্গে আমাদের দুই থেকে আড়াই ঘণ্টা আলোচনা হয়েছে। তারা আমাদের কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছেন, আমরা তা দিয়েছি। শাপলা প্রতীকের বিষয়ে ইসি আগের অবস্থানেই আছে।’
তবে প্রতীক বরাদ্দের বিষয়ে এনসিপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদিব বলেন, ‘ইসি কোনো ব্যাখ্যা না দিয়ে স্বেচ্ছাচারী আচরণ করছে। আমরা বার বার বলেছি জনগণের কাছে জবাবদিহিতা থাকা উচিত। বরং অদৃশ্য শক্তির সাথে যোগসাজশে এনসিপিকে প্রতীক থেকে বঞ্চিত করার পাঁয়তারা দেখিয়েছে ইসি।’
আরও পড়ুন:
অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘ইসির আচরণ পক্ষপাতিত্বমূলক। তাই এই নির্বাচন কমিশনের অধীনে আগামী নির্বাচনে যাবে কি না সেটা নিয়েও ভাববে এনসিপি।’
এদিকে শাপলা প্রতীক পাওয়ার বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করে এনসিপির শীর্ষস্থানীয় নেতারা তাদের অবস্থান তুলে ধরেছেন। এদের মধ্যে কেউ ইসিতে, কেউ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আবার কেউ দলীয় অনুষ্ঠান থেকে।
দলটির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে লিখেছেন, ‘এনসিপি শাপলাই পাবে।’
দলটির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেছেন আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শাপলা প্রতীক নিয়েই নির্বাচনে যাবে এনসিপি।
আজ দুপুরে নেত্রকোণায় দলীয় একটি সভায় অংশ নিয়ে সেখানে তিনি বলেন, ‘শাপলা প্রতীক পেতে এনসিপির আইনগত কোনো বাধা নেই। নির্বাচন কমিশন অভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশে তাদের জায়গা থেকে স্বেচ্ছাচারিতার আচরণ করবে না। আমরা প্রত্যাশা করছি অবশ্যই আমরা শাপলা প্রতীক পাবো। এবং শাপলা প্রতীক নিয়েই আগামীর যে জাতীয় সংসদ নির্বাচন রয়েছে সে নির্বাচনে আমরা অংশগ্রহণ করবো।’
এরই কিছুক্ষণ পর এনসিপির যুগ্ম সদস্যসচিব জহিরুল ইসলাম মুসা প্রতীক হিসেবে প্রাপ্তিতে বেশ কিছু যুক্তি তুলে ধরে ফেসবুকে একটি পোস্ট করেছেন। এ পোস্ট হাসনাত আবদুল্লাহ, এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামসহ শীর্ষস্থানীয় নেতারা শেয়ার দিয়েছেন।
আরও পড়ুন:
এ পোস্টে মুসা লিখেছেন, ‘বিষয়টা শুধু শাপলা প্রতীক ইস্যু না। ব্যাপারটা প্রতিষ্ঠান হিসেবে নির্বাচন কমিশনের স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা এবং সক্ষমতা প্রমাণের। এর আগে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেছেন, এনসিপিকে কেন শাপলা দেয়া হবে না, সেটা তিনি জনগণের কাছে ব্যাখ্যা করবেন না। আজকেও সচিব যা বললেন তার সারমর্ম-আইনগত প্রতিবন্ধকতার ব্যাপার না, শাপলা না দেয়া কমিশনের মন-মর্জির ওপর নির্ভরশীল।’
তিনি বলেন, ‘আমরা এটাই বলে আসছি, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পরে কোনো প্রতিষ্ঠান স্বচ্ছতা এবং জনগণের কাছে জবাবদিহিতার বাইরে থাকতে পারবে না। কোনো প্রতিষ্ঠান বেআইনি, বৈষম্যমূলক ও স্বেচ্ছাচারি আচরণ করতে পারবে না। নির্বাচন কমিশনকে স্পষ্ট করতে হবে তারা কি জনগণের কাছে মুখাপেক্ষী নাকি আপাত ক্ষমতার জন্য অপেক্ষমাণ কোন রাজনৈতিক দল বা বন্দুকওয়ালা কারো মুখাপেক্ষী? জনতার মার্কা শাপলা। এনসিপির মার্কা শাপলা। শাপলা দিতে হবে।’
এদিকে দলটির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার আরও কড়া কথা লিখেছেন ফেসবুকে। তিনি লেখেন, ‘ইলেকশন কমিশনের বিকল্প আছে; শাপলার কোনো বিকল্প নাই।’





