এর আগে, গত সোমবার (৬ অক্টোবর) সকালে নয়াদিল্লির সাউথ ব্লকে ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ডিক্যাব) সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রি বলেন, বাংলাদেশে একটি অবাধ, স্বচ্ছ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চায় ভারত। তবে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন কেমন হবে, তা নির্ধারণের দায়িত্ব বাংলাদেশের অথরিটি, সাধারণ মানুষ ও সিভিল সোসাইটির ওপর নির্ভর করছে। তিনি আরও বলেন, নির্বাচন সারা বিশ্বের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে— সেটিই মাথায় রেখে বাংলাদেশ নিজের নির্বাচন আয়োজন করবে।
বিক্রম মিশ্রি আরও উল্লেখ করেন, বাংলাদেশের বর্তমান সরকার নির্বাচিত না হলেও ভারত শুরু থেকেই এই সরকারের সঙ্গে কাজ করছে। এমনকি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি প্রফেসর ইউনূসকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পরপরই অভিনন্দন জানিয়েছেন।
রাষ্ট্রপতির ছবি সরানো প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘রাষ্ট্রপতির ছবি সরানোর বিষয়ে রাষ্ট্রপতির চিঠি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পেয়েছে। তবে ছবি টাঙানোর বিষয়ে এখনো নতুন কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি।’
আরও পড়ুন:
সাবের হোসেন চৌধুরীর বাসায় বিদেশি রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘বিদেশি রাষ্ট্রদূতরা যে কারও বাসায় যেতে পারেন। এতে কোনো অসঙ্গতি নেই।’
তুরস্কের উপপররাষ্ট্রমন্ত্রীর সফর প্রসঙ্গে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা জানান, সামরিক সহযোগিতা জোরদারের বিষয়ে দুই দেশের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘তুরস্ক সামরিকভাবে একটি শক্তিশালী দেশ। তাদের সঙ্গে প্রাথমিক আলোচনা হয়েছে, সামনে আরও এগোনো হবে।’
জাতিসংঘের সভাপতির নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘জাতিসংঘের ৮১তম সাধারণ অধিবেশনে সভাপতির পদে বাংলাদেশ ও ফিলিস্তিন পরস্পরের মুখোমুখি হবে না।’





