ঠিকাদার-প্রকৌশলীদের গাফিলতিতে ঢাকায় ‘সিংক হোল’ আতঙ্ক, ঝুঁকিতে নগরবাসী

ঢাকায় ‘সিংক হোল’ আতঙ্ক
ঢাকায় ‘সিংক হোল’ আতঙ্ক | ছবি: এখন টিভি
0

যেকোনো সময় ঢাকার রাস্তায় তৈরি হতে পারে ‘সিংক হোল’, যেকেউ সিংক হোলে পড়ে হারাতে পারে জীবন। ঠিকাদারের অনিয়ম ও প্রকৌশলীদের অবহেলায় তৈরি হয়েছে এমন বিপদের আশঙ্কা। তবে প্রাকৃতিকভাবে সিংক হোল হওয়ার আশঙ্কা নেই বাংলাদেশে। ঠিকাদারের-প্রকৌশলীদের এসব অনিয়ম-অবহেলা রোধ করা গেলে ঢাকার রাস্তায় সিংক হোল হওয়ার ঝুঁকি দূর করা সম্ভব বলে মন্তব্য বিশ্লেষকদের।

২০১৯ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর সকালে হুট করে সুন্দরবন হোটেলের সীমানাপ্রাচীর ও বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়কের একাংশ ভেঙে পড়ে । এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত হয় রাজধানীর সুন্দরবন হোটেল। সিংক হোলের ধরন বিশ্লেষন করলে ঘটনা একই রকম।

তখনও সিংক হোলের বিষয়টি বাংলাদেশের মানুষের কাছে অজানা। পরে ধানমন্ডির একটি সড়কে হুট করেই রাস্তা ধসে পড়ে। সে ঘটনায়ও হতাহতের হয়নি কেউ। তবে সেই ঘটনার মাধ্যমে বাংলাদেশের মানুষের কাছে পরিচিতি পায় সিংক হোল।

সিংক হোল কি? সে প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ঘটে যাওয়া দুর্ঘটনার দিকে তাকালেই ব্যাপারটি অনেকাংশে পরিষ্কার হয়ে যায়।

সিংক হোল হলো একটি গভীর খাদ বা গর্ত যা ভূ-পৃষ্ঠের ওপর তৈরি হয় যখন নিচে থাকা মাটি বা শিলার স্তর ধসে পড়ে।

সাম্প্রতিক সময়ে থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে একটি হাসপাতালের সামনের সড়কে হুট করেই তৈরি হয় সিংক হোল। এ ঘটনায় হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি এখনও।

তবে প্রশ্ন রাজধানী ঢাকার সড়ক নিয়ে। যদি এমন ঘটনা বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় হয় তাহলে হতাহতের সংখ্যা চিন্তা করেই আতকে ওঠে অনেকে।

সরকারী প্রকৌশলীদের নজরদারি ও ঠিকাদারের দুর্নীতি কমানো গেলে বাংলাদেশে এ ধরনের ঘটনা রোধ করা সম্ভব বলে মনে করেন প্রকৌশলীরা।

নির্মাণকাজের ত্রুটি রোধ করতে থার্ড পার্টি প্রকৌশল প্রতিষ্ঠান নিয়োগ দেয়া গেলে এ ধরনের ঘটনা এড়ানো যেতে পারে বলেও মন্তব্য বিশেষজ্ঞদের।

এসএইচ