ঈদের ১০ দিনের ছুটি শেষ। জীবিকার তাগিদে রাজধানীতে ফিরছেন মানুষ। প্ল্যাটফর্মের এমন ভিড়ই বলে দিচ্ছে, প্রতিটি ট্রেনে কী পরিমাণ যাত্রী ফিরছে ঢাকায়। ট্রেনের কামরায় গাদাগাদি করে আসাতে সবার চোখে-মুখে দীর্ঘ ভ্রমণের ক্লান্তি।
যাত্রীদের মধ্যে একজন বলেন, ‘আমাদের অবস্থা খুবই খারাপ, ট্রেনের মধ্যে খাওয়ার কোনো সুযোগই পাইনি। যে ভিড় উঠতেই পারিনা।’
আরেকজন বলেন, ‘টিকিট কেটেও আমরা সিট পাইনি, ছাদে এসেছি। এত লোক যে ভেতরে ওঠার মতো কোনো সুযোগ’
এ ছাড়াও, নির্দিষ্ট সময়ে স্টেশনে ট্রেন না পৌঁছানোর অভিযোগ যাত্রীদের। কারো কারো অপেক্ষা করতে হয়েছে ২ থেকে ৩ ঘণ্টাও।
যাত্রীদের মধ্যে একজন বলেন, ‘কাল অনেকে অফিস করবে, এজন্য আজ তারা ট্রেনে উঠেছে, অনেক ভিড় হয়েছে। এ ছাড়া অনেক জায়গায় ক্রসিংয়ের কারণেও লেইট হয়েছে।’
কয়েকটি ট্রেনের দেরি করে ঢাকায় ফেরার কথা স্বীকার করলেন স্টেশন ম্যানেজারও। তার দাবি, প্রতিটি স্টেশনে অতিরিক্ত যাত্রীচাপের কারণেই এমন বিলম্ব।
কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন ম্যানেজার মো. সাজেদুল ইসলাম বলেন, ‘যার যার কর্মস্থলে যোগদানের উদ্দেশে গতকাল এবং আজ যাত্রীর চাপ অনেকটাই বেশি ছিল। পথিমধ্যে বিভিন্ন স্টেশনে যাত্রী ওঠানামার কারণে ট্রেনগুলোর একটু বিলম্ব হয়েছে।’
এদিকে বাস যোগেও ঢাকায় ফিরছে মানুষ। ভোর থেকে বাস টার্মিনালে যাত্রীদের ভিড় দেখা গেছে বেশ। তবে সড়কপথে ঢাকায় ফেরা যাত্রীদেরও অভিযোগ কম নয়। বাড়তি ভাড়া আদায় ও যানজটের কবলে পড়তে হয়েছে অনেককে।
আগামী বছরের ঈদযাত্রা আরও নির্বিঘ্ন করতে সরকারকে আগাম প্রস্তুতি গ্রহণ ও তৎপর হবার আহ্বান যাত্রীদের।