শেখ হাসিনার পতনের পর দেশে আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক দিক থেকে পরিবর্তনের যে আকাঙ্ক্ষা তৈরি হয়েছিল, তা বাস্তবায়নে অন্তর্বর্তী সরকারের রয়েছে ব্যর্থতা আর উদাসীনতা। তাই আবারো রাস্তায় নামতে হয়েছে ছাত্র-জনতাকে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে জুলাই ঐক্যের উদ্যোগে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ছাত্র-জনতার মূল দাবি ছিল আওয়ামী লীগকে দল হিসেবে চূড়ান্তভাবে নিষিদ্ধ করা এবং নিবন্ধন বাতিল করা। অথচ জনগণের ভাষা বুঝতে ব্যর্থ হয়েছে সরকার।
জুলাই ঐক্যের একজন বলেন, ‘আগামী নির্বাচনের আগেই এই বিচারকার্য শেষ করে সন্ত্রাসী জঙ্গী গোষ্ঠীকে দলগতভাবে নিষিদ্ধ করে তাদের দলগতভাবে বাতিল করতে হবে।’
অন্য একজন বলেন, ‘ছাত্র-জনতার মূল দাবি ছিল আওয়ামী লীগকে দল হিসেবে চূড়ান্তভাবে নিষিদ্ধ করা। সাময়িক স্থগিতাদেশ সেই দাবির পূর্ণ প্রতিফলন নয় ‘
দীর্ঘ অপেক্ষার পর ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে জুলাই ঘোষণাপত্র প্রকাশের ইঙ্গিত দিয়েছে সরকার। যদিও জুলাই আন্দোলনের সঙ্গে যুক্তরা বলছেন, এ ক্ষেত্রে আন্দোলনের সঙ্গে যুক্তদের মতামত উপেক্ষা করা হচ্ছে।
জুলাই ঐক্যের একজন বলেন, ‘সরকার যেহেতু ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে জুলাই ঘোষণাপত্র দেয়ার একটা অঙ্গীকার করেছে, আমরা এটায় আশ্বস্ত এবং আশাবাদী। সেই সঙ্গে আমরা বলতে চাই, আমরা একটা ডেমো তাদের কাছে দিতে চাই।’
অর্ধশতাধিক সামাজিক ও মানবাধিকার সংগঠনকে নিয়ে গড়ে উঠা জুলাই ঐক্য বলছে, বিগত সাড়ে পনেরো বছরের দুঃশাসনের মূল সহযাত্রী হিসেবে কাজ করেছে ১৪ দল এবং জাতীয় পার্টি। এই রাজনৈতিক শক্তিগুলোও দায়মুক্তি পেতে পারে না। এসব দলেরও নিবন্ধন বাতিল ও নিষিদ্ধকরণসহ বিচারের দাবি জানান তারা।
এদিকে জুলাইয়ে আহত ও শহীদ পরিবারগুলোর পুনর্বাসনের রোডম্যাপ ঘোষণার দাবি জানিয়েছে জুলাই অভ্যুত্থানে আহতের সংগঠন জুলাই ওয়ারিয়র্স। এসময় তারা ছয় দফা দাবি তুলে ধরেন।
জুলাই ওয়ারিয়র্সের সদস্য সচিব সালমান হোসেন বলেন, ‘আহত জুলাই যোদ্ধাদের যে স্বাস্থ্য কার্ড প্রদান করা হয়েছে, সেটির সুবিধাগুলো বাস্তবায়নে আগামী তিন কর্মদিবসের মধ্যে সরকারকে সকল কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হবে।’
জুলাই আন্দোলন পরবর্তী অন্তর্বর্তী সরকারকে ব্যর্থ করতে একটা মহল তৎপর রয়েছে। যারা সচিবালয়ে বসে দেশবিরোধী কাজ করে যাচ্ছে বলে মনে করছে জুলাই ঐক্য। দ্রুত সময়ের মধ্যে ফ্যাসিবাদের সঙ্গে জড়িতদের তালিকা প্রকাশ করার কথা জানায় তারা।