রাজনৈতিক দলের নিবন্ধনের সময় ২২ জুন পর্যন্ত বাড়লো

নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ
নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ | ছবি: এখন টিভি
0

পুরাতন নির্বাচনী ব্যবস্থায় অনাস্থা প্রকাশ করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে প্রথমবারের মতো আনুষ্ঠানিক বৈঠক শেষে দুপুরে সাংবাদিকদের এ কথা জানান দলের মূখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী। ঐক্যমত্য কমিশনের পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট আসার পরই নির্বাচন কমিশন ভোটের আনুষ্ঠানিক প্রস্তুতি নেবে বলেও জানান তিনি। এদিকে নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ জানান ২২ জুন পর্যন্ত রাজনৈতিক দলের নিবন্ধনের সময় বৃদ্ধি করা হয়েছে।

এবছর ডিসেম্বর অথবা ২০২৬ সালে জুন মাসের মধ্যে নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে। তবে তার আগে চলছে সংস্কার কাজ। এছাড়াও ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে ধারাবাহিক বৈঠক চলছে রাজনৈতিক দলগুলোর। যেখানে ঘুরে-ফিরে আসছে সংস্কার আর নির্বাচন প্রসঙ্গ।

এমন প্রেক্ষাপটে এবার নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে প্রথমবারের মতো আনুষ্ঠানিক বৈঠকে বসে জাতীয় নাগরিক পার্টি। আজ (রোববার, ২০ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১২টায় নির্বাচন ভবনে আসেন এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসিরুদ্দিন পাটোয়ারীর নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দল। বৈঠকে বসেন প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে।

প্রায় দুই ঘণ্টা বৈঠক শেষে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন এনসিপির প্রতিনিধি দল। এতে উঠে আসে সিইসির সঙ্গে হওয়া আলোচনার নানা বিষয়। জানান, ঐকমত্য কমিশনের প্রতিবেদনের ওপরই আগামীতে একটি সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের রূপরেখা নির্ভর করছে। তবে পুরোনো ব্যবস্থায় ভোটে যেতে চায় না এনসিপি।

এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, 'ঐকমত্য কমিশনের রিপোর্টগুলো যখন ফাইনাল হবে, আসবে তখন প্রতিটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানে তারা পাঠাবে ওখান থেকে সিদ্ধান্ত হওয়ার পরে। আমরা ওই সিদ্ধান্তগুলোর কথা বলছি যে সিদ্ধান্তগুলো তারা পাঠাবে, যেন ওইগুলো বাস্তবায়ন হয়। আমরা যেমন কালকে ঐকমত্য কমিশনের সাথে বসেছিলাম, নির্বাচন কমিশন নিয়েও সেখানে কথা হয়েছে। আমরা আমাদের প্রস্তাবনাগুলোও দিয়েছি।'

এছাড়াও মন্তব্য করার ক্ষেত্রে কমিশনকে আরও সতর্ক থাকার কথাও বলেন নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী। জানান, সরকারের দিক থেকে নির্বাচনের রোডম্যাপ বা দিক নির্দেশনা আসার আগেই, নির্বাচন কমিশন রোডম্যাপের কথা বললে সেখানে সন্দেহ তৈরি হয়।

নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, 'রোডম্যাপের কথা আমরা শুনিনি। কিন্তু নির্বাচন কমিশন থেকে এসেছে। এজন্য আমরা বলবো কোনো জায়গায় কথা বলার জন্য নির্বাচন কমিশন নিজেদের জায়গা থেকে সচেতন থাকবেন। এবং প্রধান উপদেষ্টা যে কথা বলেছেন যে, ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে যে নির্বাচন সে বিষয়ে তারা কাজ শুরু করার জন্য করতে পারে কিন্তু রোডম্যাপ বা সরকার থেকে কোনো দিকনির্দেশনা আসার আগেই যখন তারা নিজেদের থেকে কোনো কথা বলে থাকেন, তখন সেটা নিয়ে আমরা সন্দেহ পোষণ করি।'

পরে সন্ধ্যায় নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ সাংবাদিকদের সাথে কথা বলে জানান, এখন পর্যন্ত ২০টি রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের সময় বৃদ্ধি করার জন্য আবেদন করেছে। সেই প্রেক্ষিতে ২২ জুন পর্যন্ত রাজনৈতিক দলের নিবন্ধনের সময় বৃদ্ধি করা হয়েছে।

আখতার আহমেদ বলেন, 'রাজনৈতিক দলের নিবন্ধনের সময়সীমা ২০ এপ্রিল আজ শেষ হচ্ছে। কমিশনের সিদ্ধান্ত মতে সময়সীমা আমরা আগামী ২২ জুন পর্যন্ত একই শর্তে বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।'

এ পর্যন্ত রাজনৈতিক দলের নিবন্ধনের জন্য সাতটি রাজনৈতিক দল আবেদন করেছে বলেও জানান ইসি।

এসএস