প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘এখনও পর্যন্ত আমি এই ঈদুল ফিতর সম্পর্কে ভালো কিছু ছাড়া আর কিছু শুনতে পাচ্ছি। সবাই সবকিছু কীভাবে সুসংগঠিত হয়েছে তার প্রশংসা করছেন।’
তিনি বলেন, ‘এখন একটি নিয়ম নির্ধারণ করা হয়েছে এবং এটি সারা বছর ধরে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার সময় এসেছে।’
কর্মকর্তাদের দলটির নেতৃত্বে ছিলেন সড়ক পরিবহন ও সেতু, রেলপথ এবং বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। তিনি প্রধান উপদেষ্টাকে ঈদের জন্য তাদের প্রস্তুতি সম্পর্কে অবহিত করেন।
উপদেষ্টা বলেন, ‘একক মন্ত্রণালয় হিসেবে কাজ করার পরিবর্তে আমরা একটি সম্পূর্ণ ইউনিট হিসেবে কাজ করেছি।’
সায়দাবাদ বাস টার্মিনাল কীভাবে পরিষ্কার করা হয়েছিল এবং গ্রামাঞ্চলের জন্য বার্ষিক বৃহত্তম যাত্রার জন্য প্রস্তুত করা হয়েছিল তার উদাহরণ তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘অন্যান্য মন্ত্রণালয় এমনকি বেসরকারি খাতও পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ায় জড়িত ছিল।’
ফাওজুল কবির খান বলেন, ‘আমরা যখন সায়দাবাদ বাস টার্মিনালে গিয়েছিলাম, তখন এটি নোংরা এবং অগোছালো ছিল। এটি দেখতে একটি বিশাল প্রস্রাবখানার মতো ছিল। তাই আমরা পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের সাথে যোগাযোগ করে বিষয়টি সমাধান করেছি।’
উপদেষ্টা আরো জোর দিয়ে বলেন, ‘ঈদের ছুটিতে কোনো কর্মকর্তা তাদের নিজ শহরে যাননি এবং সবকিছু ঠিকঠাক আছে কিনা তা নিশ্চিত করার জন্য মাঠে ছিলেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আসন্ন ঈদুল আযহা উৎসবে ন্যূনতম লোডশেডিং থাকবে এবং পরিবহন খাতে যানজট থাকবে না। ইনশাআল্লাহ, ঈদুল আযহাও লজিস্টিকভাবে একটি মসৃণ যাত্রা হবে।’
সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী শেখ মহিনউদ্দিন, বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব ফারজানা মমতাজ, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব সিরাজ সায়াথিসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা সভায় উপস্থিত ছিলেন।