চলতি বছরের এপ্রিল-মে জুড়েও থাকবে গরমের দাপট

চলতি বছরের এপ্রিল-মে জুড়েও থাকবে গরমের দাপট | Ekhon
0

এপ্রিলের শুরু থেকেই দেশের কয়েক জেলায় দেখা গেছে মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ। আর চলতি মাসে আরও দুটি মাঝারি তাপপ্রবাহেরও আভাস দিচ্ছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এরইমধ্যে রাজধানীতেও বেড়েছে গরমের মাত্রা। আবহাওয়াবিদরা বলছেন, এ বছরও এপ্রিল-মে জুড়ে টানা দাপট থাকবে গরমের। আর বাতাসে জলীয় বাষ্প কম থাকায় গরমের অনুভূতিও হবে বেশি। এরই মধ্যে যার প্রভাব শুরু হয়েছে মহানগরীতে।

চৈত্রের আকাশে খা খা রোদের মাঝেই রিকশার চাকা ঘুরিয়ে জীবনের চাকা সচল রাখার চেষ্টা চালক ফরিদ মিয়ার। এভাবেই এই নগরীর পথে পথে কাটিয়েছেন ১১ বছর। দেখছেন ধীরে ধীরে কতটা উষ্ণ হয়েছে এই শহর। তার কাছে আবহাওয়া অফিসের পরিসংখ্যান না থাকলেও, অভিজ্ঞতায় বললেন, এবারও আগের বছরের মতোই ভোগাতে পারে গরম।

রিকশা চালক ফরিদ মিয়ার আভাসের আঁচ পাওয়া গেছে এপ্রিলের শুরুতেই। চলতি মাসের প্রথম দিনই যশোরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল রেকর্ড হয়েছে ৩৭ ডিগ্রি। একদিন পর রাজশাহীতে পারদ উঠেছে ৩৮ এ। কম যায়নি ঢাকাও, দোসরা এপ্রিল তাপমাত্রা ঠেকেছিল ৩৬ ডিগ্রিতে।

গ্রীষ্মের আকাশে মেঘের আনাগোনা থাকলেও, বাতাসে খুব একটা জলীয় বাষ্প নেই। কৃষ্ণচূড়ার শহরেও তাই গরমের অস্বস্তি। দাবদাহে শুকিয়ে মড়মড় গাছের পাতা। রোদে ক্লান্ত পথিক আর শ্রমজীবী।

গরমের এই তীব্রতায় অনেকের মনে উকি মারছে গত বছরের রেকর্ড তাপমাত্রা। ২০২৪ এর এপ্রিলেই চুয়াডাঙ্গায় ৭৬ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ ৪৩. ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা দেখেছিলো বাংলাদেশ। তাই অনেকরেই প্রশ্ন এবার কি হবে?

আবহাওয়াবিদ বলেন, এ বছর দীর্ঘ ব্যাপ্তিকাল তাপমাত্রা থাকতে পারে। এই বৈরী আবহাওয়া ভাবাচ্ছে। কারণ সূর্যের উজ্জ্বল কিরণ কাল বেশী স্থায়ী হচ্ছে। প্রশ্ন ছিল কেন বাড়ছে গরমের অনুভূতি।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিভাগের এই শিক্ষক জানালেন, জলবায়ু পরিবর্তনে বৈরী হচ্ছে আবহাওয়া। কার্বন নিসঃরণ কমাতে উদ্যোগ নেয়ার তাগিদ তার।

তবে, আপাতত মুক্তি মিলছে না গরম থেকে। তাই, সুস্থ থাকতে হলে তরল জাতীয় খাবার বেশি গ্রহণের পরামর্শ এই পুষ্টিবিদের।

তবে পূর্বাভাস ঠিক থাকলে, বৈশাখ মাসের শেষে নগরীর তাপমাত্রা ধীরে কমে আসার সম্ভাবনা রয়েছে।

এএইচ