আজ (মঙ্গলবার, ২৫ ফেব্রুয়ারি) ভোর ৬টার দিকে মৃত্যুবরণ করেন তিনি।
১৯৪৫ সালে জন্ম নেয়া বর্ষীয়ান এ রাজনীতিবিদের মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৮০ বছর। তার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে চট্টগ্রামের রাজনীতিবিদ ও অনুসারীদের মাঝে।
স্বজনরা জানান, তিনি দীর্ঘদিন ধরে নান রকম শারীরিক জটিলতায় ভুগছিলেন। ভোর রাতে রাজধানীর ধানমন্ডির বাসায় অসুস্থ বোধ করলে তাকে স্কয়ার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন।
আবদুল্লাহ আল নোমান ১৯৯১, ১১৯৬ ও ২০০১ সালে চট্টগ্রাম-৯ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৯১ সালে নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার পর মৎস্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান। ২০০১ সালের নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার পর খাদ্য মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে কর্মরত ছিলেন আবদুল্লাহ আল নোমান।
বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনে তিনি ১৯৬২ সালের আইয়ুব বিরোধী আন্দোলন, হামিদুর রহমান শিক্ষা কমিশন বিরোধী আন্দোলন, ১৯৬৯ সালের ১১ দফাসহ নানা ইস্যুতে রাজপথে আন্দোলন গড়ে তোলেন। ১৯৭০ সালে স্বাধিকার আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়ায় ইয়াহিয়ার সামরিক আদালতে নোমানকে সাত বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও ১৪ বেত্রাঘাতের নির্দেশ দেয়া হয়।
১৯৭১ এ যোগ দেন মহান মুক্তিযুদ্ধে। ১৯৭৩ সালে ভাসানীর ন্যাপের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক হন এই জাতীয় নেতা। এরপর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ১৫ বছর যুগ্ম মহাসচিবের দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে দলটির ভাইস চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছিলেন। স্বৈরাচার এরশাদ বিরোধী আন্দোলনেও নোমানের অগ্রণী ভূমিকা ছিল।