২০২৩ সালে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণহানি ৫ হাজারের বেশি

0

বেশিরভাগই মোটসাইকেল দুর্ঘটনা: বিআরটিএ

গেল পনের বছরে সড়কে আমূল পরিবর্তন ঘটেছে। সারাদেশেই জালের মতো ছড়িয়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা, মিলছে সুফলও। তবে এতো উন্নয়নের আড়ালেও রয়ে গেছে সড়ক দুর্ঘটনার অভিশাপ।

 মহাসড়কে ব্যাটারিচালিত রিকশা, অটোরিকশা নিষিদ্ধ থাকলেও নিয়ম না মেনে এসব যানবাহন ঘটাচ্ছে ভয়াবহ দুর্ঘটনা। এছাড়া বিআরটিএ সহ অন্যান্য সংস্থার জরিপে দেখা যায় প্রতিবছরই দুর্ঘটনার দৌড়ে সবচেয়ে এগিয়ে মোটর সাইকেল। সিগনাল না মানা এবং বেপরোয়া গতির প্রতিযোগিতায় প্রতিদিনই দুর্ঘটনায় মৃত্যু বাড়ছে মোটরসাইকেল আরোহীদের।

দুপুরে বনানীর বিআরটিএর কার্যালয়ে সড়ক দুর্ঘটনার তথ্য সংক্রান্ত প্রেস ব্রিফিং এ তুলে ধরা হয় ২০২৩ সালের দুর্ঘটনার জরিপ যেখানে দেখা যায় ৫৪৯৫ টি দুর্ঘটনায় ২০২৩ সালে মৃত্যু হয়েছে ৫০২৪ জনের। যার মধ্যে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার হার সবচেয়ে বেশি ২২.২৯ শতাংশ। ২০২২ সালের চেয়ে ২০২৩ সালে সড়কে প্রাণহানির সংখ্যা বেড়েছে ৩৮৮ জন।

বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটির চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার বলেন, 'সর্বোচ্চ ৩৮ শতাংশের বেশি লোক মারা গেছে মোটর সাইকেল দুর্ঘটনায়। আর অটোরিকশা দুর্ঘটনায় মারা গেছে ১০ শতাংশের বেশি।'

দুর্ঘটনার শিকার পরিবারগুলোকে এক মাসের মধ্যে ক্ষতিপূরণের আবেদন করার আহবান জানান বিআরটিএ চেয়ারম্যান।

তিনি আরও বলেন, 'আমরা পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিব যেন দুর্ঘটনা সংঘটিত হওয়ার ১ মাসের মধ্যে ক্ষতিপূরণের আবেদন করে। তাহলে দ্রুত ক্ষতিপূরণ দেওয়ার বিধান বাস্তবায়ন করতে পারবো।'

অন্যদিকে নতুন দায়িত্ব নেয়ার পর কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় সভায় মহাসড়কে তিন চাকার বাহন চলাচল বন্ধ করতে নীতিমালা করার কথা জানান সড়ক ও সেতু বিভাগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

বলেন, 'ইজিবাইকসহ তিন চাকার গাড়িগুলোতে বেশিরভাগ দুর্ঘটনা ঘটছে। একটা সামগ্রিক নীতিমালা করে যদি বাস্তবায়ন প্রক্রিয়াটা বিশেষভাবে টাস্কফোর্সের মাধ্যমে করতে পারি। তাহলে এই সমস্যার সুরাহা করা যাবে।'

সড়ক আইন মেনে যানবাহন চলাচল নিশ্চিত করা গেলে সড়কে প্রাণহানির ঘটনা অনেক কমে আসবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

এএইচ