সরকার নির্ধারিত দাম মানা হচ্ছে না, নেই মূল্য তালিকা, মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য বিক্রি, অবৈধ লাইসেন্স কিংবা ওজনে কম দেয়াসহ নানা অভিযোগে সারা বছর অভিযান চালায় ভোক্তা অধিদপ্তর। এতে অসৎ ব্যবসায়ীদের জেল-জরিমানা করা হয়।
কিন্তু এর বাইরে বড় অংশই থেকে যায় অধরা, প্রতারিত হওয়া মানুষের সংখ্যাও বাড়ে। তাদের জন্য আছে অভিযোগ জানানোর মাধ্যম, ভোক্তা অধিদপ্তরের নির্ধারিত কার্যালয় কিংবা সংস্থাটির ওয়েবসাইটে প্রতারিত হওয়ার তথ্য মহাপরিচালক বরাবর লিখে করা যায় আবেদন। প্রমাণপত্র হিসেবে দিতে হয় পণ্য বা সেবা ক্রয়ের রশিদ।
আর এ অভিযোগের সংখ্যা প্রতিনিয়ত বাড়ছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরে ভোক্তাদের কাছ থেকে ২৫ হাজার ১০৬টি অভিযোগ জমা পড়েছে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসেই অভিযোগের পরিমাণ ১৯ হাজার ৮০০টির বেশি। গড় হিসেবে মাসে ৩ হাজার ৩০০, আর দিনে অভিযোগ পড়ছে ১১০টির মতো।
অভিযোগ নিষ্পত্তির পরিমাণ ৯০ শতাংশের বেশি। আজ এক আলোচনা সভায় সংস্থাটির মহাপরিচালক এমন তথ্য দেন। জানান, এ অর্থবছরের বাকি সময় অভিযোগের পরিমাণ বাকি সব রেকর্ড ছাড়িয়ে যাবে।
সারাদেশে দিনে ৫০টির বেশি অভিযান পরিচালনা করে সংস্থাটি। তিনি জানান, মানুষ নিজ অধিকার সম্পর্কে যেন আরও বেশি সচেতন হন তার জন্য ডিজিটাল মাধ্যমেও সক্রিয় আছেন তারা।
মানুষকে সচেতন করার লক্ষ্যে আগামী ১৫ মার্চ বিশ্ব ভোক্তা অধিকার দিবস পালন করবে সংস্থাটি।