আজ বুধবার (২০ ডিসেম্বর) প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রলালয়ের সভাকক্ষে মন্ত্রণালয়ের সচিব মালয়েশিয়াগামী কর্মীদের হাতে বহির্গমন কার্ড তুলে দেন। বিনা খরচে প্রবাসে যেতে পেরে খুশি এসব কর্মী।
এর আগে চলতি বছরের ১৯ জুন প্রথমবারের মতো বেসরকারিভাবে সম্পূর্ণ বিনা খরচে মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানো শুরু হয়। প্রথম পর্যায়ে ২০ কর্মী পাঠানোর মধ্য দিয়ে ‘জিরো কস্ট মাইগ্রেশন‘ পদ্ধতিতে প্রবেশ করে দেশের অভিবাসন খাত। এছাড়া চলতি বছরের ২৭ আগস্ট দ্বিতীয় ধাপে ৩১ কর্মী সম্পূর্ণ বিনা খরচে মালয়েশিয়া গেছেন।
বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সিস, বায়রা'র সাবেক মহাসচিব ও ক্যাথারসিস ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের র্কণধার মো. রুহুল আমিন স্বপন বলেন, 'কম খরচে বিদেশে কর্মী পাঠাতে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগ বাস্তবায়নের জন্য এই পদ্ধতি সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। ফলে বাংলাদেশি কর্মীদের অভিবাসন খরচ কমবে এবং রেমিট্যান্স আয় উল্লেখযোগ্য হারে বাড়বে বলেও আশা করেন তিনি।'
এই পদ্ধতিতে কর্মী পাঠানোর ফলে বৈদেশিক কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে ইতিবাচক ধারা চালু হচ্ছে বলেও মনে করেন মো. রুহুল আমিন স্বপন। তিনি বলেন, শুরুর দিকে কর্মী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে পিছিয়ে থাকা ও অসহায় পরিবারকে অগ্রাধিকার দেয়া হচ্ছে। নিয়োগদাতারা চাহিদা বাড়ালে, 'জিরো কস্ট মাইগ্রেশন' পদ্ধতির আওতায় অধিক সংখ্যক কর্মী মালয়েশিয়া যাওয়ার সুযোগ পাবে।
উল্লেখ্য, মালয়েশিয়ার নিয়োগকর্তারা এই কর্মীদের খরচ বহন করেছেন।