রমজান মাসে বন্দরনগরীতে এসব পণ্যের বাড়তি চাহিদা তৈরি হয়েছে। এই বাড়তি চাহিদার সিংহভাগ পূরণ করতেই সাশ্রয়ী মূল্যের উচ্চ গুণগতমানের ইলেকট্রনিক্স ও গৃহস্থালী পণ্য বাজারে এনেছে দেশীয় ব্রান্ড ওয়ালটন।
প্রতিষ্ঠানটির বিভিন্ন প্লাজা আর শ রুমে এখন ক্রেতাদের ভিড়। বেচা বিক্রিও অন্য সময়ের চেয়ে বেড়েছে ৩০ শতাংশের উপরে। ক্রেতারা বলছে, ইলেকট্রনিক্স পণ্যের কেনাকাটায় নতুন মডেল, কম দাম ও পণ্যের গুণগত মান বিবেচনায় আনছে তারা। এছাড়া টেকসই পণ্য দিতে পারায় এখন দেশীয় ব্রান্ডের দিকেই ঝুঁকছে সবাই।
ক্রেতারা বলেন, 'বাইরে যে পণ্য আছে তার থেকে ওয়ালটনের প্রোডাক্টের গুনগত দিক এবং সার্ভিস অনেক ভালো।'
এবার ঈদের ভালো বেচাকেনার আশা করছেন শোরুম মালিকরা। মিলিয়নিয়ার অফার, বিদ্যুত সাশ্রয়ী, আকর্ষণীয় কিস্তি সুবিধা, ই-পেমেন্ট ও বিক্রয় পরবর্তী সেবার কারণে বাড়ছে ওয়ালটনের ক্রেতার সংখ্যা।
চট্টগ্রামের ওয়ালটনের বায়েজিদ বোস্তামী এক্সক্লুসিভ শোরুমের প্রোপাইটর শাহীন ভূঁইয়া বলেন, 'ওয়ালটন অন্যান্য প্রোডাক্টের তুলনায় সার্ভিসের দিক দিয়ে এবং দেশীয় প্রোডাক্ট হিসেবে অনেক এগিয়ে আছে। এজন্য কাষ্টমারের আগ্রহ বাড়ছে।'
গত কয়েক বছরে দেশীয় ব্রান্ডের ইলেকট্রনিক্স পণ্যে এসেছে বৈচিত্রতা। রুম হিটার, রাইস কুকার, ওয়াশিং মেশিন, ব্লেন্ডার ও জুসার, আয়রন, ইলেকট্রিক ও মাইক্রোওয়েভ ওভেন, গ্যাস স্টোভ, ওয়াটার পিউরিফায়ার রিচার্জেবল ল্যাম্প ও টর্চ, আইপিএসসহ শত শত ইলেকট্রনিক্স পণ্য । দেশীয় ব্রান্ড ওয়ালটন এখন দেশের গন্ডি ছাড়িয়ে রপ্তানি হচ্ছে বিশ্বের ২০ টিরও বেশি দেশে। এতে বিশ্বে দেশীয় পণ্যের ব্র্যান্ডিং যেমন হচ্ছে বাড়ছে রপ্তানি আয়ও।
ঈদের সময়ে প্রযুক্তি পণ্যের বাড়তি চাহিদার কথা মাথায় রেখে সকল শোরুমে পর্যাপ্ত পণ্যের যোগান রেখেছে দেশীয় প্রতিষ্ঠান ওয়ালটন।