চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ বাজারের মেসার্স মমিন ইলেক্ট্রনিক্স। মার্সেলের বিভিন্ন পণ্যে সজ্জিত এই শোরুমে ক্রেতারা ঘুরে ঘুরে দেখছেন মার্সেল ব্র্যান্ডের তৈরি এয়ার কন্ডিশনার, টিভি, ফ্রিজ, ওয়াশিং মেশিনসহ বিভিন্ন ইলেট্রনিক্স পণ্য।
গুনগত মানের পাশাপাশি ওয়ারেন্টি ও কিস্তি সুবিধার কারণে জনসাধারণের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে দেশীয় এই ব্র্যান্ডটি। বছরব্যাপী মূল্য ছাড়সহ ঈদ উপলক্ষে দেয়া ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত ক্যাশব্যাক অফারে মার্সেলের পণ্যে আগ্রহ বেড়েছে ক্রেতাদের।
ক্রেতারা বলেন, 'গরমের কারণে বাচ্চাদের জন্য ফ্যান কিনতে আসা। অন্য ফ্যানের চেয়ে মার্সেলের ফ্যান ভালো।'
আরেকজন বলেন, 'পুরাতন ফ্রিজ নষ্ট হয়ে গেছে এখন ডাবল ড্রোরের একটা ফ্রিজ নিতে আসছি।'
বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধায় ক্রেতা সন্তুষ্টি বজায় রাখায় প্রতিনিয়তই বাড়ছে পণ্য বিক্রি। ক্রেতা চাহিদার কথা মাথায় রেখে প্রতিনিয়তই সংযোজন হচ্ছে নতুন পণ্য। বছরে প্রায় ১০ কোটি টাকার পণ্য বিক্রি হয় চাঁদপুরের মেসার্স মমিন ইলেক্ট্রনিক্স শোরুমে।
মেসার্স মমিন ইলেকট্রনিক্সের স্বত্বাধিকারী মো. জিল্লুর রহমান সোহাগ বলেন, 'ক্রেতাদের জন্য সবসময় আমাদের একটা আন্তরিকতা সবসময় থাকে। বিশেষ করে রমজান এবং ঈদ উপলক্ষে আমাদের সিজন-২০ অফার চালু হয়েছে। সর্বনিম্ন ক্যাশব্যাক ৩শ’ টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ১০ লাখ টাকা পাবে। এর সাথে এই অফারে টিভি, ফ্রিজ তো থাকছেই।
সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের পাশাপাশি দামে সস্তা হওয়ায় প্রতিনিয়তই বৃদ্ধি পাচ্ছে মার্সেলের চাহিদা। পাশাপাশি দেশে কর্মসংস্থান তৈরিতেও অবদান রাখছে মার্সেল ব্র্যান্ড। শুধু মার্সেলের ফ্যাক্টরিতেই কর্মরত রয়েছে প্রায় ৩০ হাজার কর্মী। সারাদেশে ৮৯টি সার্ভিস সেন্টারের মাধ্যমে দেয়া হচ্ছে বিক্রয় পরবর্তী সেবা।
মার্সেলের ডেপুটি এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর মো. নূরুল ইসলাম রুবেল বলেন, 'তিনটি কারণে মার্সেল এখন সবচেয়ে পছন্দের ব্র্যান্ড। দাম কম, কোয়ালিটি এবং আফটার সেল সার্ভিস। মার্সেলের ফ্রিজে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী হয় ৭২ শতাংশ পর্যন্ত।'
২০০৬ সালে প্রতিষ্ঠিত দেশীয় এই ব্র্যান্ডটির বর্তমানে ৫শ'র অধিক পণ্য রয়েছে। যেগুলো সারাদেশে ৬শ' পরিবেশকদের মাধ্যমে বিক্রি করা হচ্ছে। আর এতে বছরে লেনদেন হয় প্রায় হাজার কোটি টাকা।