শীতের আমেজ শুরু হলেও রাজধানীর কাঁচাবাজারে সেই শীতলতার ছোঁয়া নেই। সবজির দাম আগের তুলনায় বেড়েছে। আলুর বস্তা প্রতি দাম ৪০০ টাকা বাড়ায় খুচরায় আলু এখন ৩০ টাকা কেজি। তবে স্বস্তি মিলেছে পেঁয়াজের ঝাঁজে। গত সপ্তাহের ১২০ টাকা থেকে ছোট পেঁয়াজ ২০ টাকার মতো কমে ৯৬ থেকে ১০০ টাকায় ও বড় পেঁয়াজ ১০ থেকে ১৫ টাকা কমে ১০৪ থেকে ১১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। রসুনের বাজারে চাইনিজ রসুন ১৬০ টাকাই স্থির, আর দেশি রসুন পাঁচ থেকে দশ টাকা কমে এখন ৯০ থেকে ১০০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।
এদিকে সবজির বাজারে স্বস্তি এখনও অধরা। আগের তুলনায় ১৫ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। ঢেঁড়স, শিম, টমেটো, চায়না গাজর, করলা.এসব এখন ৮০ থেকে ১৫০ টাকার ঘরে বিক্রি হচ্ছে। বেগুনেও ২০ থেকে ৩০ টাকার বৃদ্ধি দেখা গেছে। গোল বেগুন ১৩০ থেকে ১৪০ আর লম্বা ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ফুলকপি-বাঁধাকপিও পিস প্রতি ৫০ টাকার নিচে নামেনি।
বিক্রেতাদের মধ্যে একজন বলেন, ‘হঠাৎ এক লাফে সবজির দাম বেড়ে গেছে। এতে ক্রেতারা হতাশ।’
তবে কিছু সবজির বাজারে মিলেছে স্বস্তি। কাঁচামরিচের দাম ৪০ টাকা কমে বর্তমানে ১২০ টাকা কেজি। দেশি গাজরও আগের থেকে ১০ থেকে ১৫ টাকা কমে ৭০ টাকায় নেমেছে। আলু ও কাঁচা পেঁপে ৩০ টাকার মধ্যেই স্থির রয়েছে।
বিক্রেতাদের মধ্যে একজন বলেন, ‘এক সপ্তাহ আগে আলু ছিল ৭৮০ থেকে ৮০০ টাকা। এখন সে আলু এক হাজার ২৫০ টকা বস্তা। আর কাস্টমারদের মধ্যে অনেকে মনে করছে আলু আসতেছে, দাম কমবে। তারা পাঁচ কেজির জায়গায় তিন কেজি করে নিচ্ছে।’
প্রোটিন বাজারেও পরিবর্তন এসেছে। ব্রয়লার মুরগির দাম গত সপ্তাহের ১৯০ টাকা থেকে ৩০ টাকা কমে এখন ১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সোনালি মুরগি ২৭০ থেকে ২৮০ টাকার ঘরে, ডিমের ডজনও ১০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়।
তবে মাছের দাম গড়ে ৩০ থেকে ৪০ টাকা বেড়েছে। রুই, কাতলা, পাঙ্গাস বিক্রি হচ্ছে ৪০০ থেকে ৬০০ টাকায়। মাছের রাজা ইলিশের দাম এখনও হাঁকানো হচ্ছে দুই হাজার ৪০০ থেকে দুই হাজার ৬০০ টাকা।
বিক্রেতা একজন বলেন, ‘টাটকা মাছ খুব কম পাওয়া যায়। যা পাইছি এগুলো ফ্রিজিং মাছ।’
ক্রেতাদের অভিযোগ, শীত এলেও সবজির দাম কমছে না, উল্টো বাজার করতে কষ্ট বাড়ছে। আর বিক্রেতাদের দাবি, নতুন মৌসুমের সবজি পুরোপুরি না ওঠা ও পরিবহন ব্যয় বৃদ্ধির কারণে এ দাম বাড়তি।





