দাম কমলেও কাঁচাবাজারে ক্রেতাদের হাতের নাগালে নেই সবজি

কারওয়ান বাজার
কারওয়ান বাজার | ছবি: এখন টিভি
0

সপ্তাহের ব্যবধানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কমলেও রাজধানীর কাঁচাবাজারে সাধারণ ক্রেতাদের হাতের নাগালে নেই সবজি। মাছ-মাংসের দামে যোগ হয়েছে নতুন সংখ্যা। ক্রেতাদের অভিযোগ, জুলাই আন্দোলনের পর কিছুটা স্বস্তি আসলেও, আবারও চড়া দামে নাভিশ্বাস নিম্নআয়ের মানুষের। তবে নামমাত্র অভিযানে দায়িত্ব শেষ করছে কর্তৃপক্ষ।

কারওয়ান বাজারে থরে থরে সাজানো রঙিন সবজি ক্রেতাদের নজর কাড়লেও, স্বাদ আটকে গেছে সাধ্যের বেড়াজালে। সপ্তাহের ব্যবধানে কিছুটা দাম কমলেও ফেরেনি স্বস্তি। ৮০ টাকার বিনিময়েও মিলছে না এক কেজি সবজি।

ক্রেতাদের মধ্যে একজন বলেন, ‘৮০ টাকার নিচে কোনো সবজিই নাই। এমনকি লেবু কিনতে হলেও সেটাও ৫০ থেকে ৬০ টাকা হালি।’

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, আলু ও ঢেঁড়স ২০ ও ৪০ টাকায় পাওয়া গেলেও বেগুনের কেজি ১৩০ থেকে ১৫০টাকা। টমেটোও বেগুনের মতোই ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা। পটল ৮০ থেকে ১২০ টাকা, শসা ১০০ টাকা, গাজরের কেজি ১২০ টাকা। তবে আমদানি করা গাজরের দাম আরও বেশি।

এদিকে শীতের সবজি শিম বাজারে আসলেও দাম বেশি, কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা দরে। বরবটিও ৯০ টাকা কেজি। তবে পেঁয়াজ রশুন, মসল্লা ও মোদি দোকানের সব প্রায় সব পণ্যের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

আরও পড়ুন:

অন্যদিকে সিংহাসন থেকে নামলেও মরিচ এখনো আছে তার দাম্ভিকতা নিয়ে। গত সপ্তাহে ৪০০ টাকা থেকে নেমে ১৮০ থেকে ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে ।তবে ধাপে ধাপে বাড়ছে মাছের দাম। একদিনের ব্যবধানে প্রকারভেদে কেজি প্রতি মাছের দাম বেড়েছে ১৫০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত। মুরগির দামও বেড়েছে কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা।

বিক্রেতা বলছেন, স্বাভাবিক আছে দাম, তবে বৃষ্টির কারণে কিছুটা বেড়েছে।

বিক্রেতাদের মধ্যে একজন বলেন, ‘আলু ২০ টাকা সের খাইতেছে তারপরও দাম বেশি বলবে। সেরকম আসবে সেরকমই বিক্রি হবে। যদি বেশি দামে আসে তাহলে বেশি দামই বিক্রি হবে। কম দামে আসলে কম দামেই বিক্রি হবে।’

স্বাদ ও সাধ্যের যুদ্ধে সাধারণ মানুষ বার বার হেরে গেলেও ভ্রূক্ষেপহীন কর্তৃপক্ষ। নাম মাত্র অভিযান ও তদারকি দেখিয়ে দায়িত্ব শেষ করলেও কয়েক দশকেও নিরাপদ করতে পারেনি, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের আমদানি সড়ক। ফলে চাঁদাবাজি, সিন্ডিকেট ও ব্যবসায়ীদের নির্মমতায় পুষ্টি নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত ক্রেতাদের পরিবার।

এসএস