পার্বত্য জেলা রাঙামাটি শহরের প্রধান বাজার বনরূপা। এ বাজার থেকে নিত্যপণ্যের কেনাকাটা করেন শহরের বাসিন্দারা। গত ৮ দিন ধরেই এ বাজারের সব গরুর মাংসের দোকান বন্ধ রয়েছে।
বাজার নিয়ন্ত্রণে খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি গরুর মাংসের দাম ৬৬৫ টাকা নির্ধারণ করে দেয়ার পর দোকান বন্ধ করেন ব্যবসায়ীরা। স্থানীয় পরিস্থিতি বিবেচনায় জেলা প্রশাসন ৭০০ টাকা দর ঠিক করে দেয়ার পরও লোকসানের অজুহাতে ব্যবসা বন্ধ রাখেন তারা। এতে ভোগান্তিতে পড়ছেন ক্রেতারা। তারা বলেন, গরুর মাংসের দাম ডিসি সাহেব বলছে একটা আর ব্যবসায়ীরা বলছে আরেকটা। এজন্য বাজারে মাংস পাওয়া যাচ্ছে না। তাই আমাদের খাওয়া বন্ধ। মাংস বিক্রেতারা প্রশাসনের সিদ্ধান্তকে বুড়ো আঙুল দেখিয়েছে।
ব্যবসায়ীদের দাবি, বেশি দামে গরু কেনা ও বাড়তি পরিবহন খরচসহ চাঁদাবাজির কারণে ৭৫০ টাকার নিচে বিক্রিতে লোকসানে পড়তে হয়। এ কারণে বিক্রি বন্ধ রেখেছেন তারা। মাংস ব্যবসায়ী মো. জাফর বলেন, '৭৫০ টাকা বিক্রি করেও লোকসান হচ্ছে। একটা গরুর পিছনে ৩-৪ হাজার টাকা খরচ পড়ে যায়।'
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরের বাজারগুলোতেও দ্বিতীয় দিনের মতো মাংস বিক্রি বন্ধ রেখেছেন ব্যবসায়ীরা। শহরের বাজারে গরুর মাংস বিক্রি বন্ধ থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছেন ক্রেতারা।
জেলা মাংস ব্যবসায়ী মালিক সমিতির নেতারা জানান, সরকার যে দর নির্ধারণ করে দিয়েছে খরচ তার চেয়ে বেশি। এতে লোকসান গুণতে হচ্ছে। এ নিয়ে জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দেয়ার কথাও জানান তারা।
জেলা মাংস ব্যবসায়ী সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাফর আহমেদ বলেন, 'আমরা সবদিক থেকে অনেক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছি।'
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় বেশিরভাগ স্থানে গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে সাড়ে ৭শ' থেকে ৮শ' টাকা কেজি। কিছু কিছু স্থানে নির্ধারিত দামে মাংস বিক্রি হলেও মান নিয়ে রয়েছে অভিযোগ।
হিলিতেও সরকারি দরে গরুর মাংস বিক্রি না হওয়ায় ক্ষুব্ধ ক্রেতারা।
বাজারে গরুর মাংসের দর স্বাভাবিক রাখতে স্থানীয় প্রশাসনের পদক্ষেপ এবং সংশ্লিষ্টদের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে দ্রুত সমস্যার সমাধান চান ভোক্তারা।