কাঁচাবাজার
বাজার

শরীয়তপুরের চাষীবাজারে জমজমাট পেঁয়াজ বেচাকেনা

শরীয়তপুরের মিরাশার চাষীবাজারে ভরা মৌসুমে প্রতিদিন ৫০০ থেকে ৬০০ টন পেঁয়াজ সরবরাহ হয়। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলা এই বাজারে বিক্রি হয় তিন থেকে চার কোটি টাকার পেঁয়াজ।

সকাল থেকেই নিজেদের উৎপাদিত পণ্য নিয়ে বাজারে হাজির হন চাষিরা। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কৃষক ও পাইকারদের আনাগোনা বাড়ে এই বাজারে।

ভরা মৌসুমের পেয়াঁজে ছেয়ে যায় পুরো বাজার। পর্যাপ্ত ক্রেতা থাকায় সর্বোচ্চ দরেই কৃষকরা বিক্রির সুযোগ পান।

চাষিরা বলেন, '৪০ হাজার টাকা খরচ হইসে, আর বিক্রি হইসে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা। এই বাজারে আমাদের শান্তি। তাড়াতাড়ি বিক্রি কইরা আমরা বাড়ি গিয়া অন্য কাজও করতে পারি।'

এখানে ব্যবসায়ীদের দিতে হয় না খাজনা, কোন চাঁদাবাজিও নেই। পদ্মা সেতু দিয়ে সহজ যোগাযোগ আর দাম কম হওয়ায় এই বাজারে আগ্রহ বাড়ছে পাইকার ও ব্যবসায়ীদের। তবে মৌসুমের শুরুতে পেঁয়াজের পাইকারি দর শতকের ঘর ছাড়ালেও এখন অর্ধেকে নেমেছে।

আড়তদার ও পাইকাররা বলেন, 'পেঁয়াজের আমদানি অনেক বেশি। বেচাকেনাও ভালো হচ্ছে। প্রতিদিন ১৫ টন থেকে ৪০ টন পেঁয়াজ কৃষকদের কাছ থেকে কিনে বিভিন্ন মোকামে বিক্রি করি।'

মধ্যস্বত্বভোগী না থাকায় দিন দিন জনপ্রিয় হচ্ছে সমবায় ভিত্তিক এই চাষীবাজার। তাই প্রতি বছরই এর পরিধি বাড়ছে।

মিরাশা চাষীবাজার ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি আব্দুল জলিল মাদবর বলেন, 'ভরা মৌসুমে এই বাজারে প্রায় ৭০০ থেকে ৮০০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ বেচাকেনা হয়। এই বছর পেঁয়াজের দাম বেশি তাই বাজারমূল্যও বেশি।'

এবছর শরীয়তপুরে ৪ হাজার ৪২৫ হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছে পেঁয়াজের। যেখান থেকে ৫৩ হাজার ৪৫৩ টন পেঁয়াজ উৎপাদনের লক্ষ্য ঠিক করেছে কৃষি বিভাগ। এরমধ্যে মিরাশার চাষীবাজারে বিক্রি হবে অন্তত ২৫০ কোটি টাকার পেঁয়াজ।

এভিএস

এই সম্পর্কিত অন্যান্য খবর