আজ (শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় হিলি স্থলবন্দর ঘুরে দেখা যায়, বন্দরের অভ্যন্তরে সারি সারি দাঁড়িয়ে আছে ভারতীয় চাল বোঝাই ট্রাক। এসব ট্রাকে আছে ভারত থেকে আমদানি করা স্বর্ণা-৫, সম্পা কাটারি, ৪০/৯৪ (চিকন জাত) ও রত্না চাল। বন্দরে চালের মান দেখে কিনছেন দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা পাইকারি ব্যবসায়ীরা।
প্রতি কেজি স্বর্ণা-৫ জাতের চাল বিক্রি হচ্ছে ৪৯ থেকে ৫০ টাকা, সম্পা কাটারি বিক্রি হচ্ছে ৬৫ থেকে ৬৭ টাকায় এবং ৪০/৯৪ জাতের চাল বিক্রি হচ্ছে ৫৮ থেকে ৬০ টাকায়। সব চালের মানভেদে দাম কমেছে ৩ থেকে ৪ টাকা।
হিলি কাস্টমসের তথ্যমতে, ভারত থেকে ১২ আগস্ট থেকে এখন পর্যন্ত ২ হাজার ৩২৩টি ট্রাকে শুল্কমুক্ত ১ লাখ ২০ হাজার টন চাল আমদানি হয়েছে। এসব চাল ৫০০ থেকে ৫২০ ডলারে বন্দর থেকে খালাস করছেন ব্যবসায়ীরা শুধুমাত্র ২ শতাংশ অগ্রিম আয়কর দিয়ে।
আরও পড়ুন:
হিলি স্থলবন্দরের চাল ব্যবসায়ী নুর ইসলাম বলেন, ‘চাল আমদানি চলমান রয়েছে। চালের দাম অনেক কম তবে চাহিদার তুলনায় আমদানি বেশির কারণে তেমন বিক্রি নেই। বন্দরে অনেক চাল বোঝাই ট্রাক পড়ে আছে। চাহিদা বাড়লে এসব বিক্রি হবে।’
হিলি স্থলবন্দরের চাল ব্যবসায়ী মমিনুর বলেন, ‘বন্দর থেকে চাল ক্রয় করে দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠায়। বাজার স্থিতিশীল থাকলে কিনতে এবং বিক্রি করতে সুবিধা হয়, নয়তো আমাদের লোকসান গুনতে হয়।’
হিলি কাস্টমসের রাজস্ব কর্মকর্তা মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন বলেন, ‘ভারত থেকে এই বন্দর দিয়ে চাল আমদানি অব্যাহত রয়েছে। যেহেতু দেশের বাজারে চালের চাহিদা রয়েছে, তাই আমদানিকারকরা যেন দ্রুত বাজারজাত করতে পারে, সেজন্য আমরা তাদেরকে সব ধরনের সহযোগিতা করে যাচ্ছি।’





