সীমান্ত এলাকার বাসিন্দাদের জন্য ২০১৫ সালে বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ উদ্যোগে চালু হয় কসবা সীমান্ত হাট। এতে সপ্তাহের প্রতি রোববার ৫০টি করে মোট ১শ'টি দোকানে বাহারি পণ্যের পসরা সাজিয়ে বসতেন দুই দেশের ব্যবসায়ীরা। পাশাপাশি সীমান্তবর্তী বাসিন্দাদের মিলনমেলার কেন্দ্রও ছিল এই হাট।
করোনার কারণে ২০২০ সালের মার্চে অনির্দিষ্টকালের জন্য হাটটি বন্ধ ঘোষণা করে ব্যবস্থাপনা কমিটি। পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও চালু হয়নি হাট। ব্যবসায়ীদের দাবির প্রেক্ষিতে গত ২ জুলাই বৈঠক করে ২৯ জুলাই থেকে হাট খোলার দিন ঠিক করে দুই দেশের প্রতিনিধিরা। তবে, ছাত্র আন্দোলনে ফের থমকে যায় সে উদ্যোগ।
দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার ফলে ভারতীয় ব্যবসায়ীদের কাছে পণ্য বিক্রির বাকি থাকা অর্থ আদায় করতে না পারায় অর্থ সংকটে এ অঞ্চলের অনেক ব্যবসায়ী।
এক ব্যবসায়ী বলেন,‘আমাদের অনেক মালামাল নষ্ট হয়েছে। নষ্ট হওয়ার কারণে আমরা অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়েছি।’
সীমান্ত হাট ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি মাহমুদা আক্তার বলেন, ‘বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে আমরা যোগাযোগ করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়ার বিষয়ে আমরা উদ্যোগ নিব। আশা করি যে বকেয়া আছে, যদি বর্ডার হাট চালু হয় তাহলে এ সমস্যাগুলোর সমাধান হয়ে যাবে।’
সীমান্ত হাটে বাংলাদেশি পণ্যের মধ্যে কাপড়, শুটকি, প্লাস্টিক ও লৌহজাত পণ্যের চাহিদা বেশি ছিল। সীমান্ত হাট বন্ধ হওয়ার আগে ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে প্রায় ২৭ লাখ টাকা, ২০২০ সালের জানুয়ারিতে প্রায় ৩৮ লাখ ও ফেব্রুয়ারিতে প্রায় ২৩ লাখ টাকার পণ্য কেনবেচা হয়। হাটে বিক্রি হওয়া বেশিরভাগ পণ্যই ছিলো ভারতীয়।