বাজার
0

সপ্তাহ ব্যবধানে চড়া সামুদ্রিক মাছের বাজার, বেড়েছে ইলিশের দাম

সপ্তাহের ব্যবধানে চড়া সামুদ্রিক মাছের বাজার। এছাড়া কেজিতে ২৫০-৩০০ টাকা বেড়েছে ইলিশের দাম। তবে ক্রেতাদের কিছুটা স্বস্তি মিলছে চাষের মাছের বাজারে, কেজিপ্রতি দাম কমেছে ৫০-১০০ টাকা। বিক্রেতারা বলছেন, 'সরবরাহ কম হওয়ার পাশাপাশি বেড়েছে খরচ, এর প্রভাব পড়েছে সামুদ্রিক মাছের বাজারে। বাজার তদারকির তাগিদ ক্রেতাদের।'

চলছে ইলিশের ভরা মৌসুম। তবুও স্বস্তি নেই এই মাছের বাজারে। সাপ্তাহিক ছুটির দিনে বাজারে ক্রেতাদের ভিড় থাকলেও নাগালের বাইরে দাম। রূপালী ইলিশ কিনতে এসে রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছে সাধারণ ক্রেতাদের।

বাজারে সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ৩০০-৩৫০ টাকা বেড়েছে ইলিশের দাম। প্রতি কেজি বড় ইলিশের দাম হাঁকা হচ্ছে ১ হাজার ৬০০ টাকা। আর মাঝারি ও ছোট সাইজের ইলিশ মিলছে ৯শ-১৩শ টাকায়। একই সঙ্গে চড়া সামুদ্রিক মাছের দামও। তবে কেজিতে ৫০-১০০ টাকা পর্যন্ত কমেছে শিং, মাগুর, কৈসহ চাষের মাছের দাম।

বিক্রেতারা বলছেন, নদীতে মাছ কম ধরা পড়ছে। এছাড়া বৈরি আবহাওয়ার কারণে জেলেরা সাগরে যেতে পারছেন না। এতে বাজারে চাহিদার তুলনায় মাছের সরবরাহ খুব কম। এছাড়া আনুষাঙ্গিক খরচ বাড়ায় প্রভাব পড়েছে দামে।

বিক্রেতাদের মধ্যে একজন জানান, 'মাছের দামও একটু বেশী। কারণ সমুদ্রে বোড জাহাজ কিছু যেতে পারছেনা। এইজন্য বাজারে মাছ তেমন নেই বললেই চলে।'

৮০০ থেকে ৯০০ গ্রাম ওজনের মাছ চলছে ৫৭-৫৫ হাজার টাকা করে মণ বলেও জানান একজন।

এদিকে ইলিশ রপ্তানি বন্ধের কারণে দাম কমার খবরে বাজারে এলেও হতাশার কথা বলছেন ক্রেতারা। জানান, চাষের মাছের দাম কিছুটা কমলেও তা নাগালের বাইরে।

ক্রেতাদের মধ্যে একজন বলেন, 'যেই হিসাবে মাছ দেখা যাচ্ছে সেই হিসাবে মাছের দাম কমে নাই। আমরা যারা সাধারণ মানুষ আছি তাদের আসলে ইলিশ মাছ কেনা সম্ভব নয়।'

৪০০ থেকে ৫০০ টাকার উপরে যেয়ে মাছ কেনা সম্ভব না। আবার সাড়ে সাতশ টাকার নিচে ছোট মাছও দেয়না তাহলে আমরা কিভাবে কিনব বলেও জানান আরো একজন ক্রেতা।

ভরা মৌসুমে মাছের দাম বৃদ্ধির জন্য সিন্ডিকেটকে দুষছেন সাধারণ ক্রেতারা। দাম নিয়ন্ত্রণে বাজার তদারকির দাবি তাদের।