সপ্তাহের অন্যান্য দিনের মতোই বাজার ঘুরে আলু, পটল, ডাটা ও পুঁইশাকসহ নানা রকম সবজি যত্নে সাজাচ্ছেন ভ্যান। এবার তা পাড়া-মহল্লায় বিক্রি করবেন খুচরা ব্যবসায়ীরা।
পাইকার ও খুচরা ব্যবসায়ী ছাড়াও জনমনে ফিরতে শুরু করেছে স্বস্তি। তাতে কাঁচাবাজারে বেড়েছে বেশিরভাগ সবজির সরবরাহ। এতে দাম কমেছে প্রায় ১০থেকে ২০ টাকা। তবে প্রতিকেজি পেঁয়াজে দাম বেড়েছে ৫ টাকা ও একদিনের ব্যবধানে ৫০ টাকা দাম বেড়ে ২১০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে কাঁচামরিচ।
সবজি বিক্রেতাদের একজন বলেন, ‘পেঁপে ছিল ৫০ টাকা কেজি সেখানে ৪০ টাকা করে এখন। প্রতি কেজিতে ১০ টাকা করে কমেছে।’
শঙ্কা কাটিয়ে বাজারে বেড়েছে ক্রেতা সমাগম। পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকায় আসছেন দূরের পাইকার ও খুচরা ব্যবসায়ীরাও। আর বাজারে সবজির দাম সহনশীল হওয়ায় ক্রেতাদের মাঝেও খানিকটা স্বস্তি ফিরেছে। বাজার ঘুরে কিনছেন নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য।
সবজি ক্রেতাদের একজন বলেন, ‘বাজারের অবস্থা ভালো। সব কিছুর দাম নাগালের ভিতর। দাম যতো কমবে ততই ভালো আমাদের।’
শনিবার সবজির পাশাপাশি কেজিতে ১০ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত দাম কমেছে প্রায় ছোট-বড় সব ধরনের চাষের মাছের। এছাড়া সরবরাহ বাড়ায় ২০০ থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত দাম কমেছে ইলিশের। দাম কমে বিক্রি হচ্ছে ১০০০ থেকে ১৬০০ টাকায়। এ দাম আরও কমবে বলে জানিয়েছেন মাছ বিক্রেতারা। তবে মাছ বাজারে ক্রেতা উপস্থিতি ছিলো তুলনামূলক কম।
সবজি ও মাছের মতোই রাজশাহীর বাজারগুলোতে ব্রয়লার ও সোনালী মুরগীর দাম কমেছে ২০ টাকা। আর দেশি মুরগীর দাম কমেছে ১০ টাকা। তবে অপরিবর্তিত রয়েছে গরু ও খাশির মাংসের দাম। আর ডিম বিক্রি হচ্ছে ৪০ ও ৪৪ টাকা হালিতে।
সপ্তাহ ব্যবধানে বাজারে সব ধরনের নিত্যপণ্যের সরবরাহের বিপরীতে ক্রেতা সমাগম কমায় বেড়েছে মজুদ। তাই দাম কমেছে প্রায় প্রতিটি কাঁচা পণ্যের। তবে দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে বাড়বে সব ধরনের পণ্যের বেচাকেনা, এমনটাই বলছেন ব্যবসায়ীরা।