টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলার পাথরাইল গ্রামের গৃহবধু হামিদা খাতুন। এর আগে রেফ্রিজারেটর কিনে ব্যবহার করতে না পারায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তিনি। তবে এবার আর ভুল করনেনি, এসেছেন শহরের আদালত পাড়া রোডের ওয়ালটন প্লাজায়। ঘুরে ঘুরে দেখছেন ফ্রিজ। মানে ভাল ও দাম সাধ্যমতো হওয়ায় অফারে রেফিজারেটর কিনেছেন তিনি।
হামিদা খাতুন বলেন, 'আম এর আগে অন্য ব্র্যান্ডের একটা ফ্রিজ কিনে প্রতারিত হইছি। যার কারণে এবার আমাকে সবাই বললো ওয়ালটন আমাদের দেশি পণ্য, ভালো। দামে সাশ্রয়ী এজন্য আমি এবার ওয়ালটনের ফ্রিজ কিনলাম।'
শুধু হামিদা খাতুন নয়, ওয়ালটনের রেফ্রিজারেটর, টিভি, ওয়াশিং মেশিন, ল্যাপপটসহ সব পণ্যে আগ্রহ এখানকার ক্রেতাদের। তাদের দাবি, বাজারের অন্য পণ্যের তুলনায় মানে ভালো ওয়ালটন। আর সাশ্রয়ী হওয়ায় দেশীয় এই ব্র্যান্ডই তাদের প্রথম পছন্দ।
একজন ক্রেতা বলেন, 'ওয়ালটনের এসিটা খবি ভালো। এতে বিদ্যুৎ সাশ্রয় হয়। ওয়ালটনের জিনিস তাড়াতাড়ি নষ্ট হয় না।'
ওয়ালটন প্লাজায় সারাবছরই ভিড় লেগেই থাকে। তবে ঈদ ঘিরে ৩০০ টাকা থেকে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত ক্যাশব্যাক অফার থাকায় বিক্রি ও চাহিদা আরও তুঙ্গে।
সব শ্রেণিপেশার মানুষের কথা চিন্তা করে ওয়ালটন পণ্য তৈরি ও বিক্রি করে। দেয়া হয় নানা ধরনের অফার। তাই ক্রেতা চাহিদার শীর্ষে আছে ওয়ালটনের ৫০টির অধিক পণ্য।
টাঙ্গাইল আদালত রোডের ওয়ালটন প্লাজার ম্যানেজার অনুপ কুমার সাহা বলেন, 'ক্রেতার চাহিদা অনুযায়ী অফার তৈরি করা হয়। ওয়ালটন শুধু ব্যবসাই করে না। এতে করে অনেকে সাবরম্বঅও হয়।'
দেশ ছাড়িয়ে বিশ্বের অন্তত ৪২টি দেশে ওয়ালটনের পণ্যের ব্যাপক চাহিদা। ফলে ওইসব দেশ থেকেও আয় হচ্ছে বৈদেশিক মুদ্রা ।