ঈদ উপলক্ষে শহরের বড় বাজারে প্রসাধনী কিনতে এসেছেন জান্নাতুল ফাতেমা অনন্যা। আগে বিদেশি প্রসাধনী পছন্দের তালিকায় থাকলেও এবারের ঈদে দেশি প্রসাধনীতেই ভরসা তার।
তিনি বলেন, ‘ঈদের সময় প্রচুর পরিমাণে গরম পড়বে এই কারণে আমরা দেশি প্রসাধনী কেনার চেষ্টা করছি। এই পণ্যগুলো গরমের উপযোগী ও তুলনামূলক কম দাম।’
শুধু অনন্যা নয় একই অবস্থা এই বাজারে প্রসাধনী কিনতে আসা বেশিরভাগ ক্রেতার। আরেকজন বলেন, ‘আমরা আগে কিনতাম বিদেশি প্রোডাক্ট। কিন্তু দেশি প্রোডাক্টের মান দিন দিন ভালো হওয়ায় এর প্রতি আগ্রহ বাড়ছে।’
বছরব্যাপী এ বাজারে স্বাভাবিক লেনদেন চললেও ঈদসহ নানা উৎসবকে ঘিরে তা বেড়ে যায়। যশোরের বড় বাজারে চলছে পাউডার, মেহেদি, সাবান, তেল, ফেসওয়াশ, শ্যাম্পু, নানাবিধ ফ্লেভারের ফেসিয়ালসহ কয়েকশ' প্রজাতির প্রসাধনীর বেচাকেনা। অন্য ঈদের তুলনায় এবারের ঈদে বেশি বিক্রি হচ্ছে দেশি প্রসাধনী। ক্রেতারাও চান দেশি পণ্যের আরও প্রসার হোক।
ব্যবসায়ীরা বলেন, ‘ভারত থেকে পণ্য আসার কারণে আমাদের ব্যবসার ক্ষতি হয়, এটা বন্ধ করা উচিত।’
যশোরের মেসার্স এস এন স্টোরের স্বত্বাধিকারী শফিকুল ইসলাম, ‘এবার পাইকারি ও খুচরা দোকান মিলে শত কোটি টাকার বেচাকেনা হবে।’
দেশে সৌন্দর্য সচেতন মানুষের সংখ্যা বাড়ছে সেই সঙ্গে প্রসাধনীর বাজার বড় হচ্ছে ৷ আর ধীরে ধীরে প্রসাধনীর বাজারের নেতৃত্বে চলে আসছে দেশীয় কোম্পানিগুলো।