সকাল থেকে ক্রেতা সমাগম হলেও বেলা ১২টার পর হাটটি পুরোপরি জমে উঠে। শতবর্ষী এ হাটে মেলে জিনডিং, পিকিং, রানার, রাজহাঁসসহ দেশি-বিদেশি নানা প্রাজাতির হাঁস। ওজন ও জাতভেদে পাঁচশ থেকে তিন হাজার টাকায় এসব হাঁস বিক্রি হয়।
শুধু মাংসের চাহিদার পূরণের পাশাপাশি লালন-পালনের জন্য নানা বয়সী হাঁসের বাচ্চা সংগ্রহ করতে অনেকে এই হাটে আসেন। সেইসঙ্গে খাবার উপযোগী হাঁস কেনার পর এখানে সম্পূর্ণ পরিস্কার করে নেওয়ার সুবিধাও রয়েছে।
বিক্রেতারা বলেন, 'এই বাজারের বেচাকেনা ভালো। আমাদের এখানে ৫ থেকে ৬ প্রকারের বাচ্চা আছে। ৫০ থেকে ৬০টা হাঁস আনছিলাম এখন ২০ টার মতো রইয়া গেছে।'
ক্রেতারা বলেন, 'এখানে স্বল্পমূল্যে হাঁস পাওয়া যাচ্ছে তাই এখান থেকে কিনলাম। মোট চারটা হাঁস কিনছি। একটা রাজহাঁস ২৬০০ টাকা আর দুইটা দেশি হাঁস ১২৫০ টাকা। দাম ভালো হইলেও এখানে দালালের উপস্থিতি একটু বেশি।'
হাটের সিংহভাগ হাঁস গ্রামীণ পরিবেশে পালন হওয়ায় এগুলোর মাংস স্বাদে অনন্য। বছরের বেশির ভাগ সময় সস্তা দামে হাঁস পাওয়ায় জনপ্রিয় গোলাকান্দাইল হাটটি। তবে শীতে হাঁসের চাহিদা বাড়ায় ক্রেতাদের দাম কিছুটা বেশি গুণতে হয়।
ক্রেতারা আরও বলেন, 'চীনা হাঁস ১৩০০ টাকা নিলাম। তবে গরমের সময় হইলে ৭০০ টাকা দিয়ে নিতে পারতাম। দেশি হাঁসগুলোর চাহিদা ও দাম বেশি।'
গোলাকান্দাইল হাট ইজারদার নাসির মিয়া বলেন, 'ঢাকা শহর থেকেও এখানে মানুষজন হাঁস কিনতে আসে। খামারীরা হাঁস বিক্রি করতে নিয়ে আসে। এজন্য এখানে প্রচুর পরিমাণে হাঁস বেচাকেনা হয়।'
গোলাকান্দাইল হাঁসের হাট গ্রামীন অর্থনীতিতে অবদান রাখায় জেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগ স্থানীয়ভাবে হাঁস পালনে খামারীদের কম সুদে ঋণ সুবিধার পাশাপাশি প্রযুক্তিগত সহায়তা দিচ্ছে।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মুহাম্মদ ফারুক আহমেদ বলেন, 'হাঁস পালন ব্যবস্থাপনা, উৎপাদন এবং ব্যবসার পরিকল্পনার উপর আমরা প্রশিক্ষণ দিচ্ছি। হাঁস এবং মুরগি পালনে আমরা ঋণ দিবো কম সুদে। এতে খামারীরা লাভবান হবে।'