মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ
কৃষি
0

আশার আলো দেখাচ্ছে চাষের মাছ

বরগুনায় নদ-নদী ও সমুদ্রের মাছের পাশাপাশি নতুন করে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির আলো দেখাচ্ছে চাষের মাছ। প্রতিবছর বাড়ছে হেক্টর প্রতি উৎপাদনও। দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিদেশেও এই মাছ রপ্তানি করা সম্ভব প্রত্যাশা খামারি ও ব্যবসায়িদের।

কথায় আছে 'মাছে ভাতে বাঙালি'। এর মধ্যে মিঠাপানির মাছের চাহিদা রয়েছে দেশজুড়ে। তবে নানা কারণে সংকুচিত হচ্ছে এই মাছের প্রাকৃতিক উৎস। এ অবস্থায় নতুন করে আশার আলো দেখাচ্ছে চাষের মাছ।

খামার কিংবা পুকুর কেটে মাছ চাষ করে জীবিকা নির্বাহ করছেন জেলার ১২,২৭০ জন মৎস্য চাষি। জেলার প্রায় ২,৫১৮ হেক্টর জমিতে খামার কিংবা পুকুর কেটে করা হয় নানা প্রজাতির মাছের চাষ। যা থেকে বছরে উৎপাদন হয় ৮ হাজার ৫১৩ মেট্রিক টন মাছ।

মাছ চাষীরা বলেন,'এখানে ধান চাষ হতো আমার বাবা-দাদার আমল থেকে দেখে আসছি । এখন আমরা ৭-৮ বছর ধরে এখানে ঘের তৈরি করে আসছি।'' আমার ৪০-৪৫ লাখ বিনিয়োগ করছি এটা আমার আনুমানিক হিসাব এটা থেকে আসলে হবে ১ কোটি টাকা।'

বরগুনার পানিতে পিএইচের মাত্রা ৭ এর ওপরে থাকায় বছর ব্যবধানে বেড়েছে উৎপাদন।জেলার চাহিদার থেকে উৎপাদন বেশি হওয়ায় উদ্বৃত্ত মাছ পাঠানো হয় দেশের বিভিন্ন প্রান্তে।

সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় বরগুনার রপ্তানি করা গেলে নতুন নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টির পাশাপাশি কমবে আমদানি নির্ভরতা।

জেলের মতে,'আমাদের জেলেরা যারা মাছ চাষ করেন তারা যদি বার্মার রুই গুলা ইন্ডিয়ার রুইগুলা বড় বড় করে যদি চাষ করে তাহলে বিদেশের মাছগুলো আমাদের লাগে না।'

বরগুনা , সরকারি মহিলা কলেজের প্রভাষক মিজানুর রহমান সোহেল বলেন,'সরকার যদি পৃষ্ঠপোষকতা করে তাহলে এই মাছগুলো বিদেশে ও রপ্তানি করতে পারি এবং মাছের ক্ষেত্রে যে উজ্জ্বল সম্ভাবনা আছে সেটা আমরা জাগ্রত করতে পারি।'

এদিকে, মাছ চাষে পরামর্শ ও খামারিদের সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস জেলা মৎস্য বিভাগের।

বরগুনা জেলার মৎস্য কর্মকর্তা, মো: মহসিন বলেন,'যে অভয়াশ্রমে দেশিয় প্রজাতির মাছের বংশবিস্তার বিস্তারের জন্য অবাধ সুযোগ রয়েছে এবং সেখানে মাছ ধরা নিষেধ মাছ ধরা হয় ও না এই রকম না না ধরনের কর্মকাণ্ড আমরা গ্রহণ করেছি ।'

tech