ফের বাড়তে শুরু করেছে গুরুর মাংসের দাম। সরকারের বেঁধে দেয়া ৬৫০ টাকার চেয়ে কেজিতে ১০০ টাকা বেশি নিচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। আর এজন্য সরবরাহ ঘাটতির অজুহাত দেয়া হচ্ছে।
গরু মাংসের দাম যখন রেকর্ড ৮০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছিলো তখন ৫৯৫ টাকা দরে মাংস বিক্রি করে আলোচনায় আসেন শাহজাহানপুরের মাংস বিক্রেতা মোহাম্মদ খলিল। তার দেখাদেখি রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার মাংস ব্যবসায়ীরাও একই দামে বিক্রি শুরু করেন। এরপর সব অংশীজনের সঙ্গে বৈঠক করে গরুর মাংসের কেজি ৬৫০ টাকায় বেঁধে দেয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। নির্ধারিত এই মূল্যেও বিক্রি হয় গরুর মাংস।
কিন্তু মাস দুয়েক পর আবার বাজারে বেড়েছে মাংসের দাম। রাজধানীর মিরপুর, মোহাম্মদপুর, খিলগাঁও ও রামপুরা এলাকায় গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭০০-৭৫০ টাকায়। এদিকে দাম বেড়ে যাওয়ায় মাংসের দোকানে ভিড় কমেছে।
ক্রেতারা বলেন, ‘কিছুদিন আগে যখন দাম কমেছিল তখন মাংস কিনেছিলাম। কিন্তু আবার দাম বেড়েছে। এভাবে দাম বাড়লে আমরা মাংস কিনে খেতে পারবো না।’
নির্ধারিত দামে মাংস বিক্রি না করার জন্য গরুর দাম বৃদ্ধির অজুহাত দিচ্ছেন হিসেবে দেখাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। লোকসানের ফর্দ দিচ্ছেন কেউ কেউ।
মাংস বিক্রেতারা বলেন, ‘গরুর দাম যখন কম ছিল তখন কম দামে মাংস বিক্রি করেছি। এখন আবার গরুর দাম বেড়েছে। বেশি দামেই আমাদের গরু কিনতে হচ্ছে, এক গরুতে দাম বেড়েছে ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা।’
একমাস পরই রমজান এরপর কোরবানির ঈদ। এজন্য গৃহস্থ ও খামারিরা গরু মজুত শুরু করেছেন। আর সরবরাহের ঘাটতি থাকায় দাম বাড়তি বলে জানান মাংস ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি গোলাম মর্তুজা মন্টু।
এদিকে কম দামে মাংস বিক্রি করে নজির স্থাপন করা ব্যবসায়ী খলিলকে মুঠোফোনে হত্যার হুমকি দেয়া হয়েছে। বিরাট অংকের চাঁদাও চাওয়া হয়েছে। ন্যায্য মূল্যে পণ্য বিক্রি করা অপরাধ কিনা প্রশ্ন খলিলের?
মোহাম্মদ খলিল আরও বলেন, ‘কয়েকদিন আগে আমাকে ফোন দিয়ে হুমকি দেয়া হয়। আবার টাকাও দাবি করে। পরে এ বিষয়ে থানায় জিডি করি। আর এটি জানার পর আবার আমাকে ফোন দিয়ে অকথ্য ভাষায় কথা বলেছে।’
এই ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করেছেন মাংস ব্যবসায়ী সমিতি ও ভোক্তারা।