দেশে এখন
বাজার
0

আমনের ভরা মৌসুমেও কেন বাড়তি চালের দাম?

আমনের ভরা মৌসুম। সরকারি মজুতও পর্যাপ্ত। এরপরও চট্টগ্রামে দশদিনের ব্যবধানে বস্তাপ্রতি চালের দাম বেড়েছে ৫০ থেকে ২৫০ টাকা পর্যন্ত।

আজ সোমবার (১৫ জানুয়ারি) পাহাড়তলী পাইকারি বাজারে অভিযানে নেমে মজুত নিয়ে খুব একটা গরমিল পায়নি জেলা প্রশাসন।

দিন দশেক আগেও চট্টগ্রাম নগরের পাইকারি বাজারে সিদ্ধ মিনিকেট চাল বিক্রি হয়েছিল বস্তাপ্রতি ২ হাজার ৫০০ টাকায়। যা নির্বাচনের পর থেকে বাড়তে বাড়তে এখন ২ হাজার ৭০০ টাকা। একই অবস্থা জিরাসাইল, নাজিরশাইল, আতপ বা বেথির ক্ষেত্রেও। সব চাল কিনতে বস্তাপ্রতি গুণতে ৫০ থেকে ২৫০ টাকা বেশি।

মাঠ থেকে মাত্র এক মাস আগে আমন ধান উঠেছে। সরকারি মজুতও আছে পর্যাপ্ত। এই সময়টাতে চালের দাম কমার কথা থাকলেও কেন বাড়ছে?

একজন ব্যবসায়ী বলেন, 'মিল থেকে বলছে ধানের দাম বেড়েছে যার কারনে চালের দাম বেশি। এছাড়া আর কোন অজুহাত নেই। কিন্তু এখন ভরা মৌসুম বাজারে প্রচুর চাল আছে। তারপরও এমন করছে।'

চালের বাজারের লাগাম টানতে পাহাড়তলী বাজারে অভিযানে যায় জেলা প্রশাসনের দুটি টিম। ম্যাজিস্ট্রেট এর নেতৃত্বে চলে গুদাম ও আড়তে অভিযান। এসময় আড়তদাররা অভিযোগ করেন, উত্তরবঙ্গের মিল মালিক, মধ্যস্বত্বভোগী, ও কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানগুলো দাম বাড়ানোর জন্য দায়ী।

পাহাড়তলী বণিক সমিতির সহ-সভাপতি জাফর আলম বলেন, 'বড় বড় মিল থেকে চাল ডাল সব স্টক করে ফেলছে। স্টক করার কারণে চালের দাম বেড়ে গিয়েছে।'

ব্যবসায়ীদের এসব অভিযোগ আমলে নিয়ে কোথায় কারসাজি হচ্ছে তা বের করতে অভিযান অব্যাহত রাখার কথা জানান ম্যাজিস্ট্রেট। বাজার অনুসন্ধান করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন পাঠানোর কথা জানান তিনি।

জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ওমর ফারুক বলেন, 'নওগাঁ, দিনাজপুর, কুষ্টিয়া থেকে যে চাল সরবারহ করা হয় সেখানকার মোকাম থেকে মিল মালিকরা চাল সরবারহ করছে না। বিভিন্ন গড়িমসিতে তারা চাল মজুদ করছে। সে প্রেক্ষিতে আমরা একটি রিপোর্ট লিখবো। সে রিপোর্ট বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে।'

অভিযানে বেশ কয়েকটি আড়তে ক্রয়, বিক্রয় ও গুদামজাতের তথ্যে খুব একটা গরমিল পায়নি ভ্রাম্যমাণ আদালত। তবে ফুড গ্রেইন লাইসেন্স এ ত্রুটি পাওয়ায় ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় একটি আড়তকে।

এসএস