ভোরের আলো ফুটতেই কেউ ঝুড়ি করে, কেউবা আবার ভ্যান কিংবা নৌকায় করে সুপারি নিয়ে ছোটেন পিরোজপুরের ঐতিহ্যবাহী কাউখালী হাটে। বেলা বাড়তেই সরগরম হয়ে ওঠে বাজার। সপ্তাহের প্রতি শুক্র ও শনিবার বসে এই সুপারির হাট।
এ অঞ্চলের প্রতিটি বাড়িতেই সুপারির চাষ হয়। মৌসুম চলে অক্টোবর থেকে জানুয়ারি এই ৪ মাস। ২১০ পিস সুপারিতে হয় এক কুঁড়ি। মানভেদে যার মূল্য ৩শ' থেকে ৪শ' টাকা। আর সাড়ে ১০ হাজার সুপারি বিক্রি হয় ১২ হাজার থেকে ১৫ হাজার টাকায়।
শুধু স্থানীয় ব্যবসায়ীরাই নয়, এখানকার সুপারির মান ভালো হওয়ায় দূর-দূরান্তের বেপারিরাও আসেন এ হাটে। এখান থেকে সুপারি নিয়ে বিক্রি করেন ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজাশাহীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে। কিন্তু, এ হাটে খাজনা আদায়ের পরিমাণ তুলনামূলক বেশি বলে অভিযোগ পাইকারি ব্যবসায়ীদের। যদিও, অভিযোগ অস্বীকার করেন ইজারাদার।
কাউখালী সুপারি হাট এর ইজারাদার হুমায়ুন কবির এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ১০ হাজার সুপারিতে ৩৫০ টাকা খাজনা নেওয়া হয়। সে হিসেবে তারা অনেক কম খাজনা নিচ্ছেন।
কাউখালী উপজেলার ইউএনও সজল মোল্লা জানান, প্রতিবছর এই হাট থেকে তারা অনেক টাকা সংগ্রহ করেন ও জমা দেন। এ বাজারের ব্যবসায়ীদের যেন কোনো সমস্যা না হয় সে ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও জানান তিনি।
ব্রিটিশ আমল থেকে চলা এ সুপারির হাটটি টিকিয়ে রাখতে খাজনা কমিয়ে আনার দাবি ব্যবসায়ীদের।