অ্যাডভোকেট আলিফ হত্যা: এক বছরেও অগ্রগতি নেই, দ্রুত বিচারের দাবিতে ক্ষোভ

চট্টগ্রাম আদালত ভবন ও অ্যাডভোকেট আলিফ | ছবি: এখন টিভি
0

চট্টগ্রামে অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যাকাণ্ডের বিচারে কাঙ্ক্ষিত অগ্রগতি নেই। হত্যাকাণ্ডের এক বছর পার হলেও অধরা বহু আসামি। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন আলিফের আইনজীবীরা। তাদের দাবি দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করে মামলাটির বিচার সম্পন্ন করা। গত বছর এ দিনে ইসকন নেতা চিন্ময় কৃষ্ণের জামিন শুনানি ঘিরে সৃষ্ট নাশকতায় অ্যাডভোকেট আলিফকে কুপিয়ে হত্যা করেন ইসকন সমর্থকরা।

চট্টগ্রামে আদালত পাড়ার প্রবেশপথের উল্টো দিকে রঙ্গম কমিউনিটি সেন্টারে পাশের গলিতে অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যাকাণ্ড ঘটে। ধারালো অস্ত্র আর ইট পাথর দিয়ে আঘাত করে হত্যার এ দৃশ্য পুরো দেশকে নাড়িয়ে দেয়।

গেলো বছরের ২৬ নভেম্বর বহিষ্কৃত ইসকন নেতা চিন্ময় কৃষ্ণের জামিন শুনানি ঘিরে তার সমর্থকরা আদালত চত্বরে বিশৃঙ্খলা শুরু করেন। এক পর্যায়ে আদালত চত্বর ও আশপাশে ছড়িয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন তারা। এক পর্যায়ে রঙ্গম কনভেনশন হল সংলগ্ন গলিতে অ্যাডভোকেট আলিফকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। সেসময় প্রধান উপদেষ্টা থেকে শুরু করে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, পেশাজীবী, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন এ হত্যার নিন্দা জানিয়ে বিচার দাবি করে । বছর শেষে সে বিচার কতোটা গতি পেলো?

আইনজীবী বাদীপক্ষের রায়হানুল ওয়াজেদ চৌধুরী বলেন, ‘১৮ জন পলাতক আসামি এ মামলায় এখন পর্যন্ত। যতক্ষণ পর্যন্ত জারি হয়ে আসবে না ততোক্ষণ পর্যন্ত পরবর্তী ধাপে যাবে না। এরপর মামলা বিচারে যাবে। এক বছর চলে গেল এ বিচার প্রক্রিয়া অনুসরণ করতেই’।

আরও পড়ুন:

গেলো বছরের ২৫ আগস্ট শেষ হয় মামলার তদন্ত, চার্জশিটও আমলে নেয় আদালত। মামলার ৩৯ আসামির মধ্যে গ্রেপ্তার ২১ জন। এখনো পলাতক ১৮ জন। এরইমধ্যে তিনজন হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে জবানবন্দী দিয়েছেন আদালতে। তবে এক বছরেও মামলায় কাঙ্ক্ষিত অগ্রগতি নেই জানিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ আলিফের সহকর্মীদের।

চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি আব্দুস সাত্তার বলেন, ‘আমরা মনে করি সরকার অতি দ্রুত একটি ন্যায় বিচার নিশ্চিতের লক্ষ্যে, মামলার প্রক্রিয়া অবলম্বন করে মামলা ট্রাইব্যুনালে পাঠাবে’।

চট্টগ্রাম বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল পাবলিক প্রসিকিউটর এস ইউ এম নুরুল ইসলাম বলেন, ‘আলিফ হত্যা মামলাসহ আরও বেশ কিছু মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এ পর্যন্ত কোনো মামলা জেলা প্রশাসন কার্যকরভাবে মনিটরিং করছে না। আইনজীবী ও মানুষরা মনে করে আলিফ হত্যা মামলা অবশ্যই দ্রুত নিষ্পত্তি হোক। দ্রুত বিচার হোক। প্রকৃত যারা অপরাধী তাদের সাজা হোক’।

নিহত আলিফের বাড়ি চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার চুনতি গ্রামে। ২০১৮ সালে চট্টগ্রাম আদালতে পেশাগত জীবন শুরু করেন আলিফ।

এফএস