নৌকায় ক্রস ফায়ার দিয়ে পেট কেটে সিমেন্টের বস্তা বেঁধে ফেলে দেয়া হতো বিরোধীদের মরদেহ। কিংবা ইনজেকশন পুশ করে, মাথায় বাড়ি দিয়ে যখন দেখা যেত মরেনি, তখন পলিথিন প্যাঁচিয়ে নিশ্চিত করা হতো মৃত্যু।
শেখ হাসিনার ১৫ বছরের শাসনামলে বিচারবহির্ভূত হত্যার ভয়াবহতা তুলে ধরতে গিয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটররা দাবি করেন, কখনো কখনো ক্রস ফায়ার দিয়ে রেল লাইনে ফেলে রাখা হতো মরদেহ। এরপর রাষ্ট্রীয় বাহিনীর দুষ্কৃতিকারী দলটি ততক্ষণ অপেক্ষা করতো যতক্ষণ ট্রেন এসে মরদেহটিকে ছিন্নভিন্ন না করতো।
৫৪ জন সাক্ষীর জেরা ও সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে যখন রাষ্ট্রনিযুক্ত শেখ হাসিনার আইনজীবী ও প্রসিকিউশনের মধ্যে সোমবার যুক্তিতর্কের দিন নির্ধারিত, তখন এসব বিষয়ই তুলে ধরেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর।
আরও পড়ুন:
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের কাছে যেহেতু আনুষ্ঠানিকভাবে ডকুমেন্টারিভাবে কেউ বলেনি যে আটক রাখা হয়েছে, মিডিয়াতে যেটা বলা হয়েছে, সেটাকে আমরা আমলে নিচ্ছি না। আমাদের যদি বলা হয় আটক রাখা হয়েছে, তাহলে আইন অনুযায়ী তাকে আদালতে আনতে হবে এটাই বিধান। যেহেতু আমরা জানি না তাই এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাই না।’
তিনি বলেন, ‘গেল ১৫ বছরে বিরোধী মত দমনে রাষ্ট্রকে এভাবে দানবের মত ব্যবহার করার কারণেই জুলাই আগস্ট গণহত্যা ঘটাতে পেরেছে স্বৈরাচার।’
চিফ প্রসিকিউটর বলেন, ‘আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রারের যে কার্যালয় সেখানে আপনারা খোঁজ নেবেন, তারা এ গ্রেপ্তারি পরোয়ানাগুলো যথাসময়ে যথাস্থানে জারি করেছেন এবং যে সমস্ত কর্তৃপক্ষের কাছে অবগতির জন্য পাঠানো হয়েছিলো তাদের কাছেও এটা পৌঁছে গেছে বলে আমরা জানতে পেরেছি।’
যুক্তি উপস্থাপন শেষে করা এ সংবাদ সম্মেলনে চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম জানান, গুম মামলায় অভিযুক্ত সেনা কর্মকর্তাদের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা সেনা সদরে পৌঁছেছে যার প্রাপ্তি স্বীকার কপি পেয়েছে ট্রাইব্যুনাল।
তিনি জানান, ১৫ জন সেনাবাহিনীর সদস্য গ্রেপ্তারের বিষয়টি প্রসিকিউশনকে অফিসিয়ালি জানানো হয়নি, তাই এখনই এ ব্যাপারে মন্তব্য করতে চান না। এছাড়া এ দিনের যুক্তিতর্ক সরাসরি সম্প্রসারের মধ্যে সৃষ্ট গোলযোগের ব্যাপারে জানান, অফিস অফ চিফ প্রসিকিউটর, ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইমস ট্রাইব্যুনাল, বাংলাদেশ পেজে সাইবার হামলা হয়েছিলো।





