ট্রাইব্যুনালের চার্জশিটে থাকা ২৫ সেনা কর্মকর্তার মধ্যে ১৫ জন হেফাজতে: সেনাবাহিনী

অ্যাডজুট্যান্ট জেনারেল মেজর জেনারেল মো. হাকিমুজ্জামান
অ্যাডজুট্যান্ট জেনারেল মেজর জেনারেল মো. হাকিমুজ্জামান | ছবি: এখন টিভি
1

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চার্জশিটে থাকা ২৫ সেনা কর্মকর্তার মধ্যে ১৫ জন হেফাজতে রয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। আজ (শনিবার, ১১ অক্টোবর) ঢাকা সেনানিবাসের মেসে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অ্যাডজুট্যান্ট জেনারেল মেজর জেনারেল মো. হাকিমুজ্জামান। হেফাজতে থাকা কর্মকর্তাদের মধ্যে ১৪ জন কর্মরত এবং একজন এলপিআর-এ থাকা কর্মকর্তা।

অ্যাডজুট্যান্ট জেনারেল মেজর জেনারেল মো. হাকিমুজ্জামান বলেন, ‘ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে গুম করে নির্যাতনের অভিযোগে দায়ের করা দুটি মামলায় যাদের নামে ৮ তারিখ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয় তাদের মধ্যে সাবেক ও কর্মরত মোট ২৫ জন সামরিক কর্মকর্তা আছেন। এর মধ্যে অবসরে ৯ জন, এলপিআরে ১ ও ১৫ জন চাকরিরত। কিন্তু এখনো এমন কোনো ওয়ারেন্ট হাতে পায়নি সেনাবাহিনী। তবু নিজ উদ্যোগে ৯ তারিখের মধ্যে সেনাবাহিনী হেফাজতে আসার জন্য কর্মরত ১৬ জনকে আসার জন্য বলা হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘১৫ জন চাকরিরত কর্মকর্তা সেনা হেফাজতে আসলেও একজন আসেনি। মেজর জেনারেল কবিরকে ইলিগ্যাল অ্যাবসেন্ট হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। সে যেন দেশের বাইরে যেতে পারে সেজন্য ব্যবস্থা নিয়েছে সেনাবাহিনী।’

এসময় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল বনাম সেনা আইনকে মুখোমুখি করতে না চাওয়ার বিষয়টিও সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়।

মেজর জেনারেল মো. হাকিমুজ্জামান বলেন, ‘গুম কমিশনকে সেনাবাহিনী সবসময় সহযোগিতা করেছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ন্যায়ের পক্ষে সকল সহযোগী করবে। চার্জশিট আসলে সেনা হেফাজতে নেওয়া সকল ব্যক্তির ব্যাপারে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তিনি আরও বলেন, ‘গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হওয়া অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা পুলিশ যদি গ্রেপ্তার করতে চায় তাহলে সে তা করতে পারে।’ এসময় আগামী জাতীয় নির্বাচনে সেনাবাহিনী সব ধরনের সহযোগিতা করতে প্রস্তুত বলেও জানান তিনি।

এএইচ