লাতিন আমেরিকার দেশ পেরুতে নতুন সরকারের বিরুদ্ধে জেন-জি'র বিক্ষোভ ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। দেশজুড়ে গুম-খুন, চাঁদাবাজিসহ নানান ধরণের অপরাধের প্রতিবাদে অন্তর্বর্তী সরকার প্রধান হোসে জেরি ও তার ক্যাবিনেট সদস্যদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে নামে ছাত্র জনতা। সেসময় পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছেন ৩২ বছর বয়সী এক যুবক । এমনটাই অভিযোগ বিক্ষোভকারীদের।
বিক্ষোভকারীদের মধ্যে একজন বলেন, ‘পুলিশের গুলিতে একজন নিহত হয়েছে। এটা পরিষ্কার। অবশ্যই এটি হত্যাকাণ্ড। এর জন্য শুধু পুলিশ নয় রাজনীতিবিদরাও দায়ী। এর উপযুক্ত জবাব দেয়া হবে।’
অন্য একজন বলেন, ‘ছাত্রদের লক্ষ্য করে পুলিশ গুলি ছোড়েছে। আমি নিজে সামনে থেকে দেখেছি।’
যদিও ছাত্রদের এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে দেশটির আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। আন্দোলনে তাদের অনেক সদস্য আহত হয়েছেন বলেও দাবি করা হয়।
আরও পড়ুন:
পেরুর পুলিশ প্রধান অস্কার আরিওল্ড বলেন, ‘কে গুলি করেছে বিষয়টি এখনই বলা যাচ্ছে না। ঘটনার তদন্ত চলছে। আন্দোলনে অন্তত ৮৯ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।’
এ ঘটনায় শোক জানিয়েছেন পেরুর অন্তর্বর্তী সরকার প্রধান হোসে জেরি। আশ্বাস দেন, সাধারণের নিরাপত্তা নিশ্চিতে।
পেরুর নতুন প্রেসিডেন্ট হোসে জেরি বলেন, ‘দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নে কাজ চলছে। সাধারণের জীবনের নিরাপত্তা জোরদারে তৎপড়তা বাড়ানো হবে।’
এর আগে বুধবার রাতে সরকার বিরোধী বিক্ষোভে নামে ছাত্র-জনতা। পুলিশি ব্যারিকেড ভেঙ্গে সামনে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে তাদের ওপর চড়াও হয় পুলিশ। এক পর্যায়ে তা রূপ নেয় সহিংস বিক্ষোভে। সেসময় মূলত নিহত হন এক আন্দোলনকারী। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে টিয়ার শেল ও কাঁদানে গ্যাস ছোঁড়ে পুলিশ। করা হয় লাঠিচার্জও। আটক হয় অনেকে।
গেলো সপ্তাহে পেরুর প্রেসিডেন্ট পদ থেকে পদত্যাগ করেন বিতর্কিত নেতা দিনা বোলুয়ার্তে। তার পদত্যাগের পরই আইনপ্রণেতাদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দেশটির অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব নেন হোসে জেরি।





