নজরকাড়া সৌন্দর্য ছড়াচ্ছে টকটকে লাল গোলাপ। ভালোবাসার সম্পর্কে মিষ্টি গভীরতার প্রতীক হিসেবে খ্যাত এই ফুলের দৃশ্য লাতিন আমেরিকার দেশ ইকুয়েডরের। বিশ্ব ভালোবাসা দিবস বা ভ্যালেন্টাইন্স ডে উদ্যাপনের মাস ফেব্রুয়ারি ঘিরে দেশটির ফুলের বাগানে বেড়েছে কর্ম ব্যস্ততা। গাছের পরিচর্যা ও ফুল সংগ্রহে ব্যস্ত চাষীরা।
১৪ ফেব্রুয়ারির আগেই যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপের চাহিদা মেটাতে রপ্তানির জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে গোলাপ। সবচেয়ে ভালোমানের গোলাপ সরবরাহের মধ্য দিয়ে বহির্বিশ্বের ফুলের বাজারে নিজেদের সুনাম ধরে রাখতে চান ইকুয়েডরের ফুল ব্যবসায়ীরা। নিজেদেরকে বিশ্ব সেরা গোলাপের উদ্ভাবক বলেও দাবি তাদের।
এক অধিবাসী জানান, অবশ্যই ইকুয়েডরের গোলাপ বিশ্ব সেরা। কারণ এর আকার, কাণ্ডের দৈর্ঘ্য যে কারো নজর কাড়বে। এখানকার গোলাপ সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে কয়েক মিটার উপরে জন্মায়। এই যেমন এই খামারটি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৩,২০০ মিটার উপরে।
ইকুয়েডরের ফুলের বিশ্বব্যাপী চাহিদার কারণে ২০২৫ সালের বিশ্ব ভালোবাসা দিবস ঘিরে ১৮ জানুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে রপ্তানি। যা চলবে আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। প্রতিদিন গোলাপ দিয়ে লোড হচ্ছে কার্গো বিমান। ফুল রপ্তানি ঘিরে কুইটো বিমানবন্দরেও বেড়েছে ব্যস্ততা। এবারের মৌসুমে ফুল রপ্তানি ৩ থেকে ৫ শতাংশ বাড়ার সম্ভাবনা দেখছে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।
ইকুয়েডরের কুইটো বিমানবন্দরের যোগাযোগ ব্যবস্থাপক লুইস গ্যালারাগা বলেন, এই বছরের ভ্যালেন্টাইন্স ডে ঘিরে রপ্তানির পরিমাণ ৩ থেকে ৫ শতাংশ বাড়বে। গেল বছর রপ্তানির পরিমাণ ছিল ২৬ হাজার ৪৬৬ টন।
কুইটো বিমানবন্দর এয়ার কার্গো সার্ভিসেসের সহকারী ব্যবস্থাপক ডেভিড ভাস্কেজ বলেন, ‘আমাদের প্রধান বাণিজ্যিক অংশীদার যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপ। বর্তমানে যাদের ফুলের চাহিদাও বেশি। তাই আগের তুলনায় এবার বেশি ফুল যাচ্ছে। বিমান পরিষেবায় ব্যস্ততাও অনেক বেড়েছে।’
ফুল ইকুয়েডরের প্রধান রপ্তানি পণ্যগুলোর মধ্যে একটি। দেশটিতে অন্তত ৬০ প্রজাতির গোলাপের চাষ হয়। ৫ হাজার একরের বেশি জমিতে চাষ হয় অন্যান্য বাহারি ফুলের।