লাতিন আমেরিকার দেশগুলোতে ফের চোখ রাঙাচ্ছে মশাবাহিত প্রাণঘাতী রোগ ডেঙ্গু। যার মধ্যে ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা ও প্যারুগুয়ের অবস্থা বেশি নাজুক।
আন্তর্জাতিক সংস্থা প্যান আমেরিকান হেলথ অর্গানাইজেশনের তথ্যমতে, গেল বছরের তুলনায় এবার প্রথম তিন মাসেই ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৪৫ লাখ। যা গেল বছরের চেয়ে প্রায় তিনগুণ বেশি। আর শুধুমাত্র মার্চ মাসেই ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন ৩৫ লাখ মানুষ আর প্রাণ গেছে ১ হাজারের বেশি মানুষের।
প্যান আমেরিকান হেলথ অর্গানাইজেশনের পরিচালক জারবাস বারবোসা বলেন, 'আমেরিকায় এ মৌসুমে ডেঙ্গু ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে। তাই যেসব দেশে ডেঙ্গুর প্রকোপের শঙ্কা রয়েছে, একে মোকাবিলায় তাদের প্রচেষ্টা দ্বিগুণ করা দরকার।'
যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিস কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের হিসেবে, বিশ্বের প্রায় অর্ধেক মানুষ এখন ডেঙ্গু ঝুঁকিতে রয়েছেন। তাই একে নিয়ন্ত্রণে আরও বেশি কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান বিশেষজ্ঞদের। আর অতিমাত্রায় ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়ার পেছনে জলবায়ু বিপর্যয়কে দুষছেন অনেকে।
প্যারুগুয়ের পরিবেশবিদ রিচার্ড গোমস বলেন, 'ভয়াবহ পরিবেশ বিপর্যয়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি আমরা। ধরুন, এক সপ্তাহ ধরে ৬২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা থাকছে, আবার একদিন পরই ৩০০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত। কয়েক দশক আগের বিজ্ঞানীরা আমাদের এ বিষয়গুলোতে বহুবার সতর্ক করেছিলেন।'
জীববিজ্ঞানী মারিও মাসকেটেলি বলেন, 'জলবায়ু ও পরিবেশের পরিবর্তনের জন্য আমরাই দায়ী। আমাদেরকেই এ সমস্যার সমাধান করতে হবে। তাই পরিবেশের ভারসাম্য আমাদেরই পদক্ষেপ নিতে হবে।'
ফেব্রুয়ারি থেকে মে পর্যন্ত এই চার মাস লাতিন আমেরিকার দেশগুলোতে ডেঙ্গুর প্রকোপ বেশি দেখা যায়।