যুক্তরাষ্ট্রে টানা শাটডাউনে বেড়েছে দুর্ভোগ, বিপাকে সরকারি কর্মচারীরা

শাটডাউনের মুখে যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি প্রতিষ্ঠান
শাটডাউনের মুখে যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি প্রতিষ্ঠান | ছবি: সংগৃহীত
0

যুক্তরাষ্ট্রে টানা শাটডাউনে জনজীবনের দুর্ভোগ বেড়েই চলেছে। বেতন বন্ধ হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন সরকারি কর্মচারীরা। প্রভাব পড়েছে বিমান চলাচল ও মানুষের স্বাভাবিক জীবনেও। এমন অবস্থায় দরিদ্র পরিবারগুলোর পাশে দাঁড়াতে এগিয়ে আসছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলো।

নির্ধারিত সময়ে সরকারি বাজেট অনুমোদন দিতে না পারায় গেল এক সপ্তাহ ধরে শাটডাউন চলছে যুক্তরাষ্ট্রে। সাময়িক সময়ের জন্য আংশিক বা পুরোপুরি বন্ধের মুখে পড়েছে বেশকিছু সরকারি প্রতিষ্ঠান। কোনো কোনো প্রতিষ্ঠানে আবার বিনা বেতনে কাজ করছে কর্মচারীরা।

এতে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে বিপাকে পড়েছেন লাখো সরকারি কর্মচারী। বেতন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বহু পরিবার অনিশ্চয়তার মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। তবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, ক্ষতিগ্রস্ত বেশিরভাগ কর্মচারীই পরবর্তীতে তাদের বকেয়া বেতন পাবেন।

ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘তাদের বেশিরভাগই বকেয়া বেতন পাবে। কিন্তু কিছু মানুষ ডেমোক্র্যাটদের কারণে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, ফলে তারা বেতনের জন্য যোগ্য বিবেচিত হবে না।’

চলমান অচলাবস্থার কারণে মার্কিন অভ্যন্তরীণ রাজস্ব বিভাগ ৩৪ হাজারেরও বেশি কর্মীকে সাময়িক ছুটিতে পাঠিয়েছে। একইসঙ্গে ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশনও কর্মী সংকটে ভুগছে।

পর্যাপ্ত কর্মীর অভাবে টানা তৃতীয় দিনের মতো রিগান ন্যাশনাল এয়ারপোর্ট এবং নিউইয়র্ক লিবার্টি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরসহ একাধিক বিমানবন্দর থেকে হাজার হাজার ফ্লাইট বিলম্ব হয়েছে। শুধু দুইদিনেই মোট দশ হাজার ফ্লাইট বিলম্ব হয়েছে।

আরও পড়ুন:

২০১৯ সালের তুলনায় এবারের অচলাবস্থায় আগেই বিমান নিয়ন্ত্রণে সংকট দেখা দিয়েছে। কারণ এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ তাদের সাড়ে তিন হাজারের বেশি কর্মীকে ছুটিতে পাঠাতে বাধ্য হয়েছে। যদিও প্রায় ১৩ হাজার এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলার এবং ৫০ হাজার টিএসএ কর্মকর্তা বেতন ছাড়াই কাজ করে যাচ্ছেন।

এদিকে সরকারের অচলাবস্থার প্রভাব পড়েছে সাধারণ মানুষের জীবনেও। শাটডাউনের কারণে অসহায় অবস্থায় পড়া পরিবারগুলোকে সহায়তা দেয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে দেশটির অ্যারিজোনা অঙ্গরাজ্যের দাতব্য সংস্থা সোসাইটি অব সেন্ট ভিনসেন্ট ডি পল।

সোসাইটি অব সেন্ট ভিনসেন্ট ডি পলের চিফ অপারেশনস অফিসার ড্যানিয়েল ম্যাকমোহন বলেন, ‘যখন হঠাৎ করে কারো বেতন বন্ধ হয়ে যায়, সেটা তার ও তার পরিবারের জীবনযাপনকে কঠিন করে তোলে। তখন তা বড় ধরণের মানসিক চাপ সৃষ্টি করে। সেই মুহূর্তে তারা আমাদের মতো প্রতিষ্ঠানের সহায়তা নিতে বাধ্য হয়।’

অচলাবস্থার এক সপ্তাহের মাথায় দেশজুড়ে সরকারি সেবার বিপর্যয় দেখা দিয়েছে, কংগ্রেস ও প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের মধ্যে বাজেট নিয়ে সমঝোতা না হওয়ায় এই অচলাবস্থা কবে শেষ হবে তা অনিশ্চিত।

এসএস